করুণাময় সিংহ, মালদা: এবার সারেও কালোবাজারীর অভিযোগ। ১৮০০ টাকা দামের সার কিনতে হচ্ছে ২৬০০ টাকা দিয়ে, এমনই অভিযোগ উঠল। বারবার বিভিন্ন দফতরে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সারের কালোবাজারীর প্রতিবাদে এদিন মালদা জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ আলু চাষীদের। 


চাষীদের অভিযোগ, আলু লাগানোর জন্য মিলছে না সার। কোথাও কোথাও আবার সারপাওয়া গেলেও তা কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। ফলে সম্ভব হচ্ছে না আলু বপন। কালোবাজারি চলছে। তাই জেলা শাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা।             


রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েক শো আলু চাষী। ইতিমধ্যে সারের দোকানগুলিতে হানা দিতে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদা জেলা শাসক নীতিন সিংঘানিয়া। তিনি বলেন, কালোবাজারির বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলছে। কোনও ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সারের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখছেন প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকেরা বলে জানান তিনি।


এদিকে, সিঙ্গুরে এক ভিন্ন সমস্যা। হিমঘরে মজুত প্রচুর আলু, কিন্তু বাজারে চাহিদা কম! তার ওপর এগিয়ে আসছে হিমঘর থেকে আলু বের করার সময়। সব মিলিয়ে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কায় হুগলির আলু চাষিদের মাথায় হাত। প্রশাসন হিমঘরে সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ায় কি না, এখন সেদিকেই তাকিয়ে তাঁরা। 


আরও পড়ুন, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই, ২০ জন চাকরিপ্রার্থী,চাকরি প্রাপককে তলব


বাজারে যখন দাম বাড়বে, তখন হিমঘর থেকে বের করে বিক্রি করবেন। বাড়তি লাভের আশায় হিমঘরে আলু মজুত করেছিলেন সিঙ্গুরের চাষিরা। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বাজারদর।


নতুন ধান উঠলেই আর কিছুদিন পর শুরু হবে এই মরশুমের আলু চাষ। এই সময় হিমঘর থেকে বের করেন চাষিরা। লাভের অঙ্ক থেকে নতুন চাষের খরচও জোগাড় হয়ে যায়। কিন্তু বন্ডের পড়তি দাম সব ওলটপালট করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, হিমঘরে আলু মজুতের সময় ৫০ কিলোর এক বস্তা জ্যোতি আলুর বন্ডের দাম ছিল ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। এখন তা দাঁড়িয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। মজুত করার সময় চন্দ্রমুখী আলুর বন্ডের দাম ছিল ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা বস্তা। এখন তা কমে হয়েছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। 


আলু চাষিদের কেউ কেউ এই অবস্থার জন্য ফড়েদের দিকে আঙুল তুলেছেন।