করুণাময় সিংহ, মালদা: ৩০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট-সহ চার পাচারকারীকে গ্রেফতার করল এসটিএফ। ধৃতদের আজ মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়। সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম দীপ রায়, রাকেশ শর্মা, তাফাজুল ইসলাম ও হবিবুর রহমান।


কী ঘটেছিল?
সূত্রের খবর, দীপ, রাকেশ এবং তাফাজুল যথাক্রমে নাগাল্যান্ড এবং অসমের বাসিন্দা। অন্য দিকে হবিবুরের বাড়ি মালদার বৈষ্ণবনগরে। পুলিশের দাবি, গত কাল রাতে ইংরেজবাজারের বাঁধাকপুকুর এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট পাচার করতে এসেছিল ওই চার জন। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে হানা দেয় এসটিএফ। গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। উদ্ধার হয় ৩০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট। প্রসঙ্গত, মালদায় মাদক উদ্ধারের ঘটনা আগেও একাধিক বার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছে। 


আগেও মাদক উদ্ধার...
গত জুলাইতেই মালদা থেকে বিপুল অঙ্কের মাদক-সহ গ্রেফতার করা হয় ২ যুবককে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মাদকের পরিমাণ প্রায়  ১ কিলোগ্রাম। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদহের ইংরেজবাজার থানার মানিকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়েছিল এসটিএফ। তখনই প্রায় ১ কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়। পুলিশের দাবি, ওই মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। সম্ভবত কালিয়াচকের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল। মালদার বাইরে কোথাও পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। তবে তার আগেই গোপন সূত্রে খবর পায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। মাদক পাচার কারবারি সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে এক জনের বাড়ি কালিয়াচক থানার বাথরপুরে, অন্য জন ইংরেজবাজারের কাদিগ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের দুজনেরই বয়স তিরিশের মধ্যে। তার আগে গত মার্চেও মাদক উদ্ধার ঘিরে শিরোনামে আসে মালদা। সে বার হরিশ্চন্দ্রপুরের একটি আমবাগান থেকে ৬৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম ছিল হাবিবুর ওরফে হবি। পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বাইসা আমবাগানে অভিযুক্ত ব্যক্তি মাদক সরবরাহ করতে এসেছেন। বার বার কেন এই জেলার নামই মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে যায়? কোথা থেকে আসে এই মাদক? কাকে দেওয়ার জন্যই বা আসে? কেন মাদক পাচার নিয়ে বার বার শিরোনামে উঠে আসে মালদার নাম? প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই। প্রশ্ন উঠেছে আগেই। আজকের পর ফের আলোচনায় সেই বিতর্ক।


আরও পড়ুন:উৎসবের মেজাজে বঙ্গবাসীর জন্য বিশেষ ক্যাম্পেন Paytm-র