মালদা: কন্যা (Girl Child) সন্তান জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী। আর তাতেই মাথায় আগুন চেপে গিয়েছিল। স্ত্রীকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালালো স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) এক বেসরকারি হাসপাতালে। ২২ দিন ধরে পরিবারের কোনো সদস্য তার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। এরপর মালদা জেলা পুলিশের তৎপরতায় মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হল হোমে (Home)। পরিবারের সন্ধানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বীরভূমের লাভপুরে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে লাভপুর থানার পুলিশ। এ দিন সকালে লাভপুরের লাঘাটা ব্রিজের সামনে একটি ঝোপের মধ্যে শিশু কন্যার কান্নার আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় এক মহিলা। এরপর খবর যায় লাভপুর থানায়। লাভপুর থানার পুলিশ গিয়ে সদ্যোজাত শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় লাভপুর হাসপাতালে। সেখান থেকে সিয়ান হাসপাতালে পাঠানো হয় শিশুকন্যাটিকে চিকিৎসার জন্য। কে বা কারা শিশুকন্যাটিকে ফেলে গেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে লাভপুর থানার পুলিশ। শেষপর্যন্ত শিশুটির বাবা-মায়ের খোঁজ মেলে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঘুম ভেঙেছিল একরত্তির কান্নায়। সাতসকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরই, বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা সুকুর মণি থমকে যান কান্নার আওয়াজে। তাঁর দাবি, কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর বুঝতে পারেন কুয়ে নদীর সেতুর পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ভেসে আসছে আওয়াজ। কাছে যেতেই, তিনি দেখেন কাপড় জড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে এক সদ্যোজাত শিশুকন্যা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
কিছুদিন আগে প্রকাশ্যে এসেছিল আরও একটি চাঞ্চল্যাকর ঘটনা। রাজস্থানে নিয়ে গিয়ে মোটা দরে শিশুকন্যা বিক্রির পরিকল্পনা কষেছিলেন বাঁকুড়ার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল। সেই লক্ষ্যেই মিথ্যে পরিচয় দিয়ে দুই শিশুকন্যাকে নিজের হেফাজতে রেখেছিলেন তিনি। তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করে পুলিশ। তবে তা মানতে নারাজ অভিযুক্তের পরিবার। রাজনৈতিক তরজা জারি।
শিক্ষক মানেই মানুষ গড়ার কারিগর। কিন্তু বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকায় সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেই উঠেছে শিশু কেনাবেচা ও পাচারের চেষ্টার অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে দাবি, উদ্ধার শিশুগুলির মধ্যে ২ কন্যাসন্তানকে রাজস্থানে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ধৃত কমল কুমার রাজোরিয়ার।
সেই কারণেই মিথ্যা পরিচয় দিয়ে দুই শিশুকন্যাকে নিজের হেফাজতে রেখেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে দাবি, দুর্গাপুরের লকগেট এলাকার এক মহিলার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকায় ৩ শিশুকে কেনা হয়। দুই কন্যা সন্তানকে কিনলে তবেই পুত্রসন্তানকে বিক্রি করবেন এই শর্ত রাখেন মহিলা। সেই মতো, দুই শিশুকন্যাকে নিজের কাছে রেখে দেন প্রিন্সিপাল। আর পুত্রসন্তানকে কিনে নেন প্রিন্সিপালের সহকর্মী শিক্ষিকা সুষমা শর্মা ও তাঁর স্বামী সতীশ ঠাকুর।