করুণাময় সিংহ, মালদা: নেতাজির জন্মদিনে (Netaji Subhash Chandra Bose Birth Anniversary) এক মঞ্চে শাসক বিরোধী। মালদায় দেখা গেল এই ছবি। ওই মঞ্চ থেকেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (CPM Leader Sujan Chakraborty) অভিযোগ করলেন, যাঁরা ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে পারেন না, তাঁরাই ২২ তারিখ অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। 


কী হল?
আজ, মঙ্গলবার, ইংরেজবাজার পুরসভার উদ্যোগে নেতাজি মোড়ে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী পালনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মঞ্চে হাজির ছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী-সহ অন্যান্য তৃণমূল কাউন্সিলারা। একই সঙ্গে দেখা যায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীকেও।  শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে নেতাজীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি।  পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'মালদা শহরের সবকটি স্কুল-ক্লাব-রাজনৈতিক দল একসঙ্গে মিলে নেতাজির জন্মদিন পালন করছে। খুব ভালো লাগছে।  আমরা সকলে তাঁর ভক্ত। এখানে রাজনৈতিক কোনও ব্যাপার নেই। আমাকে ডেকেছে, আমরা এসেছি।'  মাল্যদান কর্মসূচির পর এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ২৩শে জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করার পক্ষে বিজেপিকে একহাত নেন সুজন।
পরে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, 'আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে মাল্যদান করছিলাম। ঠিক সেই সময় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এখানে আসেন। আমরা মাল্যদান করতে তাঁকেও আমন্ত্রণ জানাই। এটা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।' 


বারাসতে ভাগবত...
অন্য দিকে নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বারাসতে জনসভা করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'অনেক জাতি-উপজাতি-ভাষা-ধর্ম রয়েছে। তবে দেশ এই সমস্ত কিছুর উপরে, এমনই মনে করতেন নেতাজি।' তাঁর সংযোজন, 'ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনও সূর্যাস্ত হয় না, এই ধরনের অহংমিশ্রিত কথা বলতেন ঔপনেবেশিক শাসকরা। সেই তাঁদের গদি ছাড়তে বাধ্য করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।' তবে এ কাজের পথে প্রধান বাধা যে শক্তির অভাব ছিল, সে কথাও মনে করান ভাগবত। সেই সূত্রে নেতাজির 'বীরত্বের' স্মৃতিচারণা শোনা যায় তাঁর মুখে। বলেন, 'সেই শক্তিও জোগাড় করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ভারতের বাইরে গিয়ে, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও শক্তি জোগাড় করেছিলেন। এর জন্য ইউরোপের একপ্রান্ত থেকে জাপান পর্যন্ত, জলের তলা দিয়ে সফর করেন তিনি এসেছিলেন। অসম সাহসিকতার পরিচয়!' ভারতের এই বীরসন্তানের সাহসিকতার কথা বলতে গিয়ে এর পরই আরএসএস প্রধানের মুখে শোনা যায়, নেতাজির দেশপ্রেমের কথা। ভাগবত মনে করান, নানা বৈচিত্র্য সত্ত্বেও সুভাষচন্দ্র বসু মনে করতেন দেশ সব কিছুর ঊর্ধ্বে।


আরও পড়ুন:'সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালু করতেই হবে', নয়া সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের