করুণাময় সিংহ, মালদা: প্রার্থী বাছাই (Candidate Selection) নিয়ে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল( TMC Clash)। রক্তাক্ত মানিকচকের নুরপুর। মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয় এক তৃণমূল কর্মীর (TMC Worker) বলে অভিযোগ। আহত হয়েছেন আরও দুই জন তৃণমূল কর্মী।


আজ মালদার মানিকচক ব্লকের নুরপুর অঞ্চলের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বরমপুর বুথের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছিল। অঞ্চল নেতৃত্বেরউপস্থিতিতে শুরু হয় বৈঠক। বৈঠকে তিন থেকে চারজন প্রার্থীর নাম উঠে আসে। আর এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিবাদ। সেই বিবাদের জেরে নাক  ফাঁটে এক তৃণমূল কর্মীর।  আহত হন আরও দুজন তৃণমূল কর্মী। প্রার্থী বাছাই নিয়ে গন্ডগোলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। 


গতবছর সেপ্টেম্বরে তৃণমূলের (TMC) ২ নেতার অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি। পুলিশ সূত্রে খবর আসে, দু’পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছিলেন। আহতদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কামারহাটি ESI হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলে সেবার। যদিও কামারহাটি থানা  সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি।এলাকা দখল ও তোলাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। দলের এক নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধেই তোলাবাজি ও হামলার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন দলের কয়েকজন কর্মীও। 


আরও পড়ুন, 'বগটুইগ্রামে বিজেপির কোনও ভোট নেই', কেন বললেন শুভেন্দু ? 


কামারহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ, গুড্ডু নামে আরেক তৃণমূল কর্মীর অনুগামীরা এলাকায় তোলাবাজি করে। যাকে কেন্দ্র করে ক্রিক স্ট্রিটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল দুই গোষ্ঠী। সেবার কামারহাটির ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছিলেন, 'তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল কোনও নতুন কথা নয়। যত সমাজবিরোধী আছে, তারাই তৃণমূল দলটাকে চালাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা, সাধারণ মানুষের টাকা লুঠ করে ভাগ-বাটোয়ারা করে খাচ্ছে। ভাগ নিয়ে বনিবনা না হলেও গুলি-বোমা চলছে। এ সবের সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দল বাঁচাতে ব্যস্ত, সরকারে মন নেই। তাই সবকিছুই ঢিলেঢালা। প্রশাসন ভেঙে পড়েছে।'