ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: বেজে গিয়েছে বিসর্জনের বাজনা৷ ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে কৈলাসে পাড়ি উমার। আনন্দে উচ্ছ্বাসের মাঝেই মিশেছে বিষণ্ণতার সুর৷ মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী-বরণের পাশাপাশি সিঁদুর খেলা। এরপর মা-কে বিদায় জানানোর পালা। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ ৷ বাঙালির চিরাচরিত রীতি। হাসি মুখে মাকে বিদায় জানিয়ে আরও একটা বছরের অপেক্ষা৷ এখন শুধু দু’চোখ ভরে মাকে দেখে নেওয়া আর ঢাকের তালে মনে মনে বলা, আসছে বছর আবার এসো মা৷                                             


একই সুর মল্লিক বাড়িতেও। ঢাকের বাদ্যি, সিঁদুরখেলায় পাতলেন মল্লিক বাড়ির (Mallick Bari) পরিবারের সদস্যরা৷ প্রতিবারের মতো এবারও পারিবারিক রীতি-নীতি মেনে হাসিমুখেই দেবী দুর্গাকে বিদায় জানালেন তাঁরা৷ এদিন পরিবারের সকলের সঙ্গে সিঁদুরখেলায় মাতলেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)। বিসর্জনের আগে ঢাকের তালে নাচতে দেখা গেল রঞ্জিত মল্লিককেও (Ranjit Mallick)। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পা মেলালেন অভিনেতাও।                 


এদিন কোয়েল মল্লিক বলেন, "গত দু'বছর যা চলেছে তারপর একটাই কথা বলব যে সবাই যেন সুস্থ থাকে। মায়ের কাছে এটাই প্রার্থনা সবাই যেন সুস্থ থাকে, আনন্দে থাকে। আমাদের বাড়িতে একটা নিজস্ব নাচের কায়দা রয়েছে। দাদারা সেটাই ভাসান নাচ করে।"                                                   



আরও পড়ুন, বেজে গিয়েছে বিসর্জনের বাজনা, বিষণ্ণতার সুরে উমাকে বিদায় শোভাবাজার রাজবাড়ির


অন্যদিকে, লাল পাড় সাদা শাড়ি, সিঁদুরে রাঙা মুখ, আবাসনের পুজোয় অভিনেত্রী পাওলি দাম (Paoli Dam) যেন ঘরের মেয়ে। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একটি আবাসনে দেবীবরণ করলেন অভিনেত্রী পাওলি। শুধু কী তাই? ধুনুচি হাতে পাওলিকে পাওয়া গেল নাচের ছন্দেও।


এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাওলি দাম জানালেন, প্রতি বছরই এই পুজোয় হাজির হন তিনি। অঞ্জলি থেকে শুরু করে পুজোর কাজ, সবেতেই হাত লাগান পাওলি। প্রায় ৫০ বছরের পুরনো এই পুজো। এই বছরও বাকি সব বছরের মতোই সিঁদুরখেলা, ধুনুচি নাচে মাতেন পাওলি। প্রতি বছর নাকি আবাসনের সবার অনুরোধ থাকে, সন্ধিপুজো আর ধুুনুচি নাচে যেন অংশ নেন পাওলি। সেই মতো এবারেও সিঁদুরে রাঙা হলেন পাওলি, পা মেলালেন ধুনুচি নাচে। বিদায়বেলায় মায়ের কানে কানে সবার ভালোই চাইলেন পাওলি।