কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: শিবসেনার অন্তর্দ্বন্দ্বে টালমাটাল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) জোট সরকার। শিণ্ডে অনুগামীদের পাল্লা ভারী হওয়ায় প্রায় কোণঠাসা উদ্ধব ঠাকরে শিবির। সূত্রের খবর, একনাথ শিণ্ডে অনুগামী শিবসেনার 'বিদ্রোহী' বিধায়করা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়তে পারে। এই পরিস্থিতির জন্য আসানসোলের সভা থেকে খোলাখুলি বিজেপিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।  এদিন ওই সভা থেকে তিনি বলেন, 'বিজেপির কোনও কাজ নেই, অপদার্থ। কোটি কোটি টাকা খরচ করে মহারাষ্ট্রে সরকার ভাঙছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে মহারাষ্ট্রে সব এমএলএ-গুলিকে বিক্রি করেছে, নিয়ে গিয়েছে। জনমত ভাঙছে। এর নাম কি গণতন্ত্র?'


নিশানা বিজেপির দিকে:
শিবসেনার এই অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য গোড়া থেকে বিজেপিকে নিশানা করেছে উদ্ধব ঠাকরে শিবির। বিজেপিই আড়াল থেকে ইন্ধন জুগিয়ে একনাথ শিণ্ডেকে (Eknath Shinde) দিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে উদ্ধব শিবির। শিণ্ডে-অনুগামীরা সদলবলে বিজেপিশাসিত রাজ্য অসমের একটি হোটেলে গিয়ে রয়েছেন। এমনকী একসময়ে একনাথ শিণ্ডেই বলেছেন জাতীয় স্তরের একটি দল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। সব মিলিয়ে বারবার অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপিরই দিকে। এরই মধ্যে সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি মন্তব্য নিয়েও শোরগোল পড়ে। গতকাল কোচবিহারে সভা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, '২০২৬ পর্যন্ত যেতে হবে না, ২০২৪-এই বিসর্জন দিয়ে দেব। অপেক্ষা করে থাকুন ২০২৪-এই সরকারকে বিসর্জন দিয়ে দেব।' এরপরেই মহারাষ্ট্র অনুষঙ্গ নিয়ে আসেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'সবে তো মহারাষ্ট্র হয়েছে, এরপর ঝাড়খণ্ড, তারপরে রাজস্থান (Rajasthan)। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের পর বাংলায় পৌঁছে যাব।' এরপরেই তাঁর বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়ে।


আগেও তোপ মমতার:
সম্প্রতি উদ্ধব ঠাকরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সঞ্জয় রাউতকে একটি মামলায় তলব করেছিল ইডি। তা নিয়েও বর্ধমানের সভা থেকে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেন, 'যে সত্যি কথা বলবে, তাঁর বিরুদ্ধে হয় সিবিআই না হলে ইডি। আজ দেখলাম, মহারাষ্ট্রেও শিবসেনার একজন নেতার নামে সমস্ত সম্পত্তি অ্যাটাচ করে দিয়েছে ইডি। এইভাবে দেশ চলে না জীবন চলে। কেন ভয় দেখাবেন?' এদিন ফের মহারাষ্ট্র পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন: 'বিকাশবাবুদের বলুন, আপনি চাকরি বন্ধ করেছেন, আপনিই চালু করবেন', নিয়োগ-জট নিয়ে তোপ মমতার