কলকাতা: শারীরিক অসুস্থতার জন্য বেশ কিছুদিন ঘরবন্দি ছিলেন। বৃহস্পতিবার, দ্বাদশীর দিন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে যখন ইডি (Enforcement Directorate) তল্লাশি চালাচ্ছে, সেই সময় সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলির ভূমিকায় সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলা-সহ দেশের সর্বত্র বিরোধীদের উপর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, "সীমা যখন সীমাহীন হয়ে যায়, বাঁধন যখন বাঁধনছাড়া হয়ে যায়.. আমি আঝ বলতে বাধ্য হচ্ছি। বিজয়ার পর জেলায় জেলায় কার্নিভ্যাল। আগামী কাল কলকাতাতেও কার্নিভাল রয়েছে। নেতা-মন্ত্রীরা সবাই ব্যস্ত। সেই আবহে সকাল থেকে বালুর (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) ঘরে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। বিজয়া করতে গিয়ে দেখছে তল্লাশি চলছে। সব মন্ত্রীদের বাড়িতেই যদি তল্লাশি চালানো হয়, তাহলে সরকারের আর কীই বা বাকি থাকল?"
পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির যে অভিযোগ রয়েছে, পুজোর আগে, সম্প্রতি সেই মামলায় ফিরহাদ হাকিম, রথীন ঘোষ এবং মদন মিত্রের বাড়িতেও সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত তল্লাশি চলে। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, "ববির স্ত্রী কাল বলছিলেন, তল্লাশির নামে চিনির কৌটো, তেলের কৌটো, ঘিয়ের কৌটেোপর্যন্ত উল্টে দিয়েছে। ২৫-৩০ বছর যার বিয়ে হয়েছে, তার ক'টি শাড়ি, ক'টি পোশাক, সব ছবি তুলেছে। প্রসাধনীর হিসেবও নিয়েছে। আমার প্রশ্ন, বিজেপি-র ক'টা নেতার বাড়িতে তল্লাশি চলেছে? বিজেপি-র ক'টা ডাকাত, চোরের বাড়িতে হানা দিয়েছে?"
বিজেপি-কে এদিন 'প্যাথলজিক্য়াল লায়ার', বিকারগ্রস্ত মিথ্যাবাদী বলেও উল্লেখ করেন মমতা। তাঁর দাবি, বিজেপি যদি ভাবে, এভাবে মুখবন্ধ করবে, ভুব ভাবছে। এটা নোংরা খেলা। সুপ্রিম কোর্ট যেখানে বলেছে, প্রমাণ থাকতে হবে, সেখানে হাতে কিছু না থাকা সত্ত্বেও এমন আচরণ কী করে চলছে, প্রশ্ন তোলেন মমতা। যে মুখ খুলছে, তার সঙ্গেই এমন আচরণ হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
মমতার অভিযোগ, জাতীয়, আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমগুলির কণ্ঠ চেপে ধরেছে। যে কথা শোনে না, সেই সমস্থা কাউকে দিয়ে কিনিয়ে দেয়। সব জায়গায় নিজেদের লোক বসাচ্ছে, যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ এনডিটিভি। এরা বিদেশে গিয়ে 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ' বলে। আর দেশে সকলের সর্বনাশ, সকলের ত্রাস নীতি নিয়েই বিজেপি চলে বলে এদিন অভিযোগ করেন মমতা।