অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: আজ মেয়ো রোডে (mayo road) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের (foundation day) সমাবেশ (meeting)। ২১ জুলাইয়ের পর সবথেকে বড় এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) ও তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhisek banerjee)। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর দ্রুত অনেক কিছু বদলে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গরু পাচার মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এমন আবহে কী বার্তা দেন মমতা? অভিষেকের তরফেই বা কী অবস্থান নেওয়া হয়? নজর তামাম রাজনৈতিক মহলের।


যে দিকে নজর...
করোনা পরিস্থিতির জন্য ২ বছর পর প্রকাশ্য সমাবেশ করছে টিএমসিপি। মেয়ো রোডে সেই সমাবেশের মঞ্চ তৈরি, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন  স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গরু পাচার মামলায় দলের বীরভূম জেলা সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অপব্যবহারের অভিযোগে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছেন মমতা। এর পর এদিনের সমাবেশে তিনি কী বলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নজর থাকবে অভিষেকের বক্তব্যেও। হালেই দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর ছবি-সহ হোর্ডিং পড়েছিল। লেখা ছিল,ছ'মাসের মধ্যে  মানুষ যেরকম চান ঠিক সেরকমই নতুন তৃণমূল কংগ্রেস আসছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায় এ নিয়ে আরও সুস্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায় কিনা,সেটাও খেয়াল রাখবেন রাজনৈতিক কারবারিবা। তবে গত কালই একটি সাংগঠনিক বৈঠকে টিএমসিপি জানিয়েছিল, এদিনের সমাবেশের মূল ফোকাস হতে চলেছে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। সত্যিই সেই লড়াইয়ের মূল সুর এই মঞ্চ থেকেই বেঁধে দেওয়া হয় কিনা,তাও দেখার বিষয়।      


প্রেক্ষাপট
গত ২১ জুলাই সমাবেশের ঠিক পরই দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার হন পার্থ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। দলের সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থকে। কয়েক দিন পরে গরু পাচার মামলায় দলের দাপুটে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পর কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অপব্যবহারের অভিযোগে তীব্রতর আক্রমণ শানান তৃণমূলনেত্রী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লাগাতার বার্তা আসতে থাকে শাসক শিবির থেকে। পাল্টা আক্রমণের ধার বাড়ায় বিরোধী দলগুলি। দুর্নীতির প্রশ্নে তীক্ষ্ণ সমালোচনা শুরু হয় তৃণমূলের। এমন আবহে এদিনের মঞ্চ থেকে কী বলবেন মমতা? জানা যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।   


আরও পড়ুন:এয়ারপোর্ট অথরিটিতে প্রচুর শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি, দশম-দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণরাও করতে পারবেন আবেদন