আশাবুল হোসেন, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ‘উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary Exam) শেষ হওয়ার পর ২ মে নতুন সরকারের এক বছর। ৫ মে থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত হবে জনসংযোগ। ৫ মে শুরু হবে সংযোগ যাত্রা। ২১ জুলাই থেকে পুজো পর্যন্ত হবে জনসংযোগ। তৃতীয় পর্যায় হবে দিওয়ালির (Diwali) পর থেকে’, জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।


বিধানসভায় গতকালের তরজা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন, ‘একটা নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে না দেওয়ার চক্রান্ত।’


বিরোধীদের পাশাপাশি দলের বিক্ষুদ্ধদেরও আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘বেছে বেছে কাঁথি, ব্যারাকপুর, বহরমপুরে গন্ডগোল হচ্ছে। মানুষের উপর ভরসা রাখতে হবে বিরোধী দলগুলিকে। দলের প্রার্থীকে হারিয়ে দিচ্ছেন, দল থেকে নাম কেটে দেওয়া হবে। দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও নির্দলদের কেন সমর্থন করা হবে? এদের নাম ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। অভিষেক, সুদীপ, সুব্রত বক্সী, পার্থ, চন্দ্রিমাদের নিয়ে কমিটি। প্রথমে সতর্ক করব, তারপর শো-কজ, না শুনলে সাসপেন্ড। ২-৩ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। দরজা খোলা আছে, যেতে পারেন। বারবার এঁদের বলা হয়েছে, এমন করবেন না। তৃণমূল করতে গেলে আদর্শ-মূল্যবোধ নিয়ে করতে হবে। সিপিএম এখন দর্শনধারী। তৃণমূল ভদ্রতা করে বলে দুর্বল নয়। গতকাল বিজেপি বিধানসভায় চূড়ান্ত অসভ্যতা করেছে। এত করা সত্ত্বেও আমাদের মহিলা বিধায়করা বিধানসভার সম্মান রক্ষা করেছেন। জেলা যুব তৃণমূল নেতারা যেন মূল দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেন। ছাত্র সংগঠনের নেতাদের নিয়ে কিন্তু দু’এক জায়গায় সমস্যা আছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, ছাত্র সংগঠন পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা দূর করুন। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লবি করে এখানে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান হওয়া যাবে না।’


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘বিধানসভায় নিয়মিত বিধায়কদের আসতে হবে। অনুমতি না নিয়ে অনুপস্থিত হওয়া যাবে না। বিধানসভাকে স্কুল-কলেজের মতো জ্ঞান করুন। বিধানসভায় বিজেপির বাহিনীর মোকাবিলা করতে হবে তৃণমূল বিধায়কদের।’