হিন্দোল দে, রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত ইউক্রেন (Ukraine) থেকে ঘরে ফিরলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) সোনারপুরের (Sonarpur) তিন ডাক্তারি পড়ুয়া। কারও কথায় উঠে এল দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। কারোর মুখে ঘরে ফেরার শান্তি। কেউ আবার নির্বিঘ্ন ফিরেও কেরিয়ার নিয়ে চিন্তায়। ইউক্রেন কব্জা করতে মরিয়া রাশিয়া (Russia)।
চলছে লাগাতার আক্রমণ। ৪ শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই মাইকোলেভে সকাল থেকে পরপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ক্রমশ দীর্ঘ হতে থাকা যুদ্ধে আরও বেশি করে রক্তাক্ত হচ্ছে কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী দেশ।
একদিকে মৃত্যুমিছিল, আরেকদিকে শরণার্থী-স্রোত। আর এই ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধদীর্ণ দেশ থেকে রবিবার ঘরে ফিরেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের তিন ডাক্তারি পড়ুয়া, যাঁরা পারিবারিক আত্মীয়তায় আবদ্ধ।
মিশন পল্লির বাসিন্দা সৌম্যদীপ সিনহা ইউক্রেনের কিভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। নতুন পল্লি নিবাসী তাঁর দুই মামাতো ভাই-ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সম্রাট মৌলিক ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। সব্যসাচী মৌলিক চতুর্থ বর্ষের।
নানা রকম বিপদ মাথায় নিয়ে হাঙ্গেরি হয়ে ঘুরপথে দেশে ফিরেছেন তাঁরা। ইউক্রেন ফেরত সোনারপুরের সৌম্যদীপ সিনহার কথায়, বাঙ্কারে দিন কাটাতে হতো। ফেরার সময় রাস্তার দুধারে দেখি সব ভেঙেচুরে পড়ে রয়েছে। একেবারে ধ্বংসস্তূপ। ট্রেনে ভারতীয়দের সহজে উঠতে দিচ্ছিল না। পরে উঠতে দিত।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: সাময়িক যুদ্ধবিরতি, ইউক্রেনের ৫ শহরে সেফ করিডর, ঘোষণা মস্কোর
সম্রাট মৌলিক নামে আরেক পড়ুয়ার কথায়, আমরা কী করব বুঝতে পারছি না। আমার ফাইনাল ইয়ার ছিল। তা ছেড়ে চলে আসতে হল। সরকার বিকল্প ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। যুদ্ধের মেঘ সরে গিয়ে আবার কবে ঠিকরে বেরোবে স্বপ্নের রামধনু, তার প্রতীক্ষায় সোনারপুরের তিন সন্তান।