কলকাতা : বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ( Mamata Bandyopadhyay ) । দায়িত্বে আসছেন ৫-৬ জন নতুন মুখ। বাদ যাবেন ৪-৫ জন। ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। এই নতুন মুখ কারা ? এরই মধ্যে জেলায় জেলায় দলের দায়িত্বে রদবদল করা হয়েছে। কাউকে কাউকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এঁদের কাউকে কাউকেই কি এবার মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে ? কী বলছে, সূত্র ? 

বাবুল সুপ্রিয়
জানা যাচ্ছে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাঁর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয় এনে দেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ, অধুনা তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। জানা যাচ্ছে, নতুন মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন বাবুল সুপ্রিয়। 

পার্থ ভৌমিক
অন্যদিকে, সূত্রের খবর, মন্ত্রী হতে পারেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তৃণমূলের ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে নৈহাটির বিধায়ক অভিষেক-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পার্থ ভৌমিককে। তাহলে কি মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব দেবেন বলেই জেলার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল তাঁকে ? 

তাপস রায়
অন্যদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, ফের মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন তাপস রায় । তিনি দলের বর্ষীয়ান নেতা। উত্তর কলকাতায় তাঁর প্রভাব আছে যথেষ্ট। 

সরতে পারেন পরেশ , আসতে পারেন উদয়ন
সূত্রের খবর, মেয়েকে অন্যায্য ভাবে শিক্ষিকা পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কে পরেশ অধিকারী। তিনি কেন এখনও দায়িত্বে, প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি, বিশেষত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানোর পর থেকেই। তাই বাদ পড়তে পারেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী । দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহকেও মন্ত্রিসভায় আনতে পারেন মমতা, বলে জানা যাচ্ছে। 

 স্নেহাশিস চক্রবর্তী
মন্ত্রী হতে পারেন জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর জায়গায় জেলা সভাপতি পদে আনা হয়েছে অরিন্দম গুঁইকে। তাই তাঁর মন্ত্রিত্ব পাওয়ার জল্পনা জোরদার হয়েছে। 
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে পঞ্চায়েত ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতর খালি পড়ে রয়েছে। ইডি হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিল্প সহ ৩ দফতর এখন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে । 


একাধিক জেলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে আজ। সেইসঙ্গে বদল করা হয়েছএ  তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান পদেও। বারাসাত সাংগঠনিক জেলায় অশনি মুখোপাধ্যায়ের জায়গায় জেলা সভানেত্রী হলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বনগাঁয় গোপাল শেঠকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হল বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। নতুন সভাপতির নাম পরে জানানো হবে। কোচবিহারে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল পার্থপ্রতিম রায়কে। নতুন জেলা সভাপতি হলেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। দক্ষিণ দিনাজপুরে উজ্জ্বল দে বসাকের জায়গায় তৃণমূলের নতুন জেলা সভাপতি হলেন মৃণাল সরকার।