কলকাতা: ক্ষুদ্র শিল্পতে বাংলা অনেক এগিয়ে, বহু কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে। বারবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কর্মসংস্থানের প্রশ্নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের গুরুত্বের কথা বলেছেন। দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানেও কর্মসংস্থানের প্রশ্নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসঙ্গই তোলেন তিনি। তিনি বলেন, 'আগামী ২-৩ বছরে ১০ লক্ষ ছেলে-মেয়ে এমএসএমই-তে চাকরি পাবে।' শুধু তাই নয়, শিক্ষক নিয়োগ নিয়েও বার্তা দিয়েছেন তিনি।


শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ডামাডোল চলছে রাজ্যে। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ একাধিক বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা। নিয়োগ-প্রশ্নে বারবার বিরোধীদের নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা করে চাকরি আটকে দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগও করেছেন তিনি। এদিন ফের সেই অভিযোগ করেন তিনি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন, 'শিক্ষকদের ২৪ হাজার পদ খালি রয়েছে। মামলা করে চাকরি আটকে দিচ্ছে।' পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, 'আমি আদালত যা বলবে সেভাবেই শিক্ষকদের নিয়োগ করতে রাজি আছি।'


সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্য়ু নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। ফের সামনে এসেছে দীর্ঘদিন ঘরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার প্রসঙ্গও। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার জন্য শাসক দলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠনগুলি। এদিন সেই বিষয়ে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, পুজোর পরে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে। সঙ্গে তাঁর বার্তা, 'শান্তিপূর্ণভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচান করতে হবে। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি এখানে মিলে গেছে। লাল-হলুদ মিলে গিয়ে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলে পুলিশ আটকাবে। বহিরাগতদের আটকাবেন, নিজেদের নির্বাচন নিজেরা লড়বেন।' পাশাপাশি আগামী ৫ সেপ্টেম্বরে শিক্ষক দিবসে দলের ছাত্র সংগঠনকে নির্দেশ দিয়েছেন এলাকার সব শিক্ষককে সম্মান জানানোর জন্য়।


বাংলার ছাত্ররা যাতে বাইরে না যান, সেই আবেদনও শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মুখে। তিনি বলেন, 'আমি চাই না বাংলার ছাত্ররা বাইরে যাক। ইতিমধ্যেই ৫৬ হাজার ছাত্র স্টুডেন্টস্ ক্রেডিট কার্ড নিয়েছে।' সম্প্রতি মিজোরামে একটি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, সেখানে কর্মরত একাধিক বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। তা নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূল-বিজেপি বাগযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছিল। এদিন তিনি বলেন, 'আমাদের এখানের শ্রমিকরা মারা যাচ্ছে বিজেপি শাসিত প্রদেশে গিয়ে। কেউ পড়তে, কাজ করতে বাইরে যেতে চাইলে রাজ্যের পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়। আমাদের রাজ্যের মানুষের হাতের কাজ ভাল। শ্রমিকদের টাকার লোভ দেখিয়ে নিয়ে যায়, নিরাপত্তার কথা ভাবে না। সামাজিক নিরাপত্তায় পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশে প্রথম।'


আরও পড়ুন: 'মগের মুলুক নাকি, নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না', রাজ্যপালকে আক্রমণ মমতার