কলকাতা : শুধু অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করা-ই নয়, এদিন নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধেও সুর চড়ালেন তৃণমূলনেত্রী। "মায়ের মতো আশ্রয় দিয়েছিলাম, সেই গদ্দার এখন শুধু হুমকি দিচ্ছে", বলে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে তিনি বলেন, "বলছে, এই তো দিল্লি গিয়ে ৫০ জনের নাম দিয়ে এসেছি। হুমকি দিয়ে বলছে, একে গ্রেফতার কর, ওকে গ্রেফতার কর। এত বাড় বেড়ো না, ঝড়ে ভেঙে যাবে।"
নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ED গ্রেফতার করার পর, দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নানারকম দুর্নীতির অভিযোগে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রী-বিধায়ক-সহ ১০০ জন তৃণমূল নেতার নামের তালিকা দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেছিলেন, আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ১০০ জন TMC নেতার নাম দিয়েছি, যার মধ্যে MLA আছে, মন্ত্রী আছে, এবং ডকুমেন্টও দিয়েছি। ৪ জন MLA’র লেটারহেড প্যাডও দিয়েছি। যারা কালেকশন করেছে। এটা একটা ইস্যু, আমি বলেছি, এটাকে আরও কড়া করতে হবে। আরও কঠিন সাজা দিতে হবে।
আরও পড়ুন ; "অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন ?" সুর চড়ালেন মমতা
এদিন শুভেন্দুর নাম না নিয়ে যার পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, কারও একটা পা ছোট, কারও একটা হাত ছোট, কারও একটা চোখ ছোট, বলছে ৫০জনের নাম দিয়ে এলাম। ৪০০ জনের নাম দিয়ে এলাম, ২০০ জনের নাম দিয়ে এলাম। নেচে নেচে বলছে, চাল চুরি করেছে। মমতা ২০ বছর চালই খায় না। আর বলছে ৯ হাজার কোটির চাল চুরি করেছে। এত বাড় বেড়ো না।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি, দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে মোদি সরকারের তদন্তকারী সংস্থা, CBI। অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে রাস্তায় রাস্তায় গুড়-বাতাসা বিলি করতে দেখা গেছে বিজেপিকে। আর এই প্রেক্ষাপটেই, নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের তাঁর মুখে শোনা গেল ‘মীরজাফর’ ও ‘গদ্দার’।
কী বলছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ?
যদিও রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, উনিও (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তো একসময় কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল তৈরি করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। তাঁর টা ভাল কাজ, আর শুভেন্দুর খারাপ কাজ, এটা তো যুক্তিযুক্ত হতে পারে না।