আগরতলা: 'বাংলায় বিজেপি-বাম-কংগ্রেস সব এক।' ত্রিপুরার (Tripura) সভা থেকে একযোগে আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন তিনি বলেন, "এখানে সিপিএম কংগ্রেস জোট হয়েছে। আমরা বাংলায় বলি রাম-বাম-শ্যাম, জগাই-মাধাই-গদাই। বিজেপি, সিপিএম আর কংগ্রেস একসঙ্গে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, প্রার্থী দেয়। আগের বার সিপিএমের কমরেডরা বিজেপি হয়ে গিয়েছিলেন, এবার তারা বলছে লড়াই করছে।'         

  


ত্রিপুরার সভা থেকে আক্রমণ: ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। আগরতলার রবীন্দ্রভবন থেকে এদিন শুরু হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা। পদযাত্রার শেষে রবীন্দ্রভবনেই নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ত্রিপুরায় একরকম রাজনীতি আর বাংলায় আরেক রকম রাজনীতি। তোমরা তো ছিলে ক্ষমতায় সিপিএমের বন্ধুরা বছরের পর বছর। কোন কাজটি করেছ? কংগ্রেসের বন্ধুদের জিজ্ঞেস করি। ওদের মধ্যে দু একজন আছে, চার বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য দল পাল্টায়। আবার যেই ভোট আসে তখন আবার দল পাল্টায়। কারণ তাঁদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। এই হচ্ছে এদের অবস্থা। দলবদলু সব। আগের বার সিপিএমের কমরেডরা বিজেপি হয়ে গিয়েছিলেন, এবার তারা আবার বলছে লড়ছি। কী লড়ছ? স্কুলের শিক্ষকরা আন্দোলন করতে গিয়েছে, তাঁদের রাস্তায় বসতে দেওয়া হয়নি। কোনও লোককে আন্দোলন করতে দেওয়া হয় না। শুধু নির্বাচন কমিশনের আওতায় এখন সবটা আছে বলে মিটিংটা করতে পারছি।'' 


বিরোধীদের আক্রমণ অভিষেকের: ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ত্রিপুরায়। তৃণমূলের পাখির চোখ ত্রিপুরা। এদিন ওই সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “ত্রিপুরায় শান্তি চাইলে সিপিএম-বিজেপি নয়, তৃণমূলই বিকল্প। বাংলা পারলে, ত্রিপুরা কেন বঞ্চিত হয়ে থাকবে? ভোটের ফল বেরোলে ত্রিপুরাতেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হবে। তৃণমূল শুধু ভাষণ দেয় না, যা বলে তাই করে। বাংলায় যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, পালন করেছি। আগে ত্রিপুরায় এসেছি, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। যাদেরকে আঘাত করা হয়েছে, তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে দেওয়া হয়নি। রাস্তাঘাট নেই, চিকিৎসা পরিষেবা নেই, এমন হলে ত্রিপুরায় বিনিয়োগ আসবে না।ত্রিপুরায় ডবল ইঞ্জিন সরকার নয়, বাংলার মতো সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার চাই। ডবল ইঞ্জিনের একটা ইঞ্জিন ইডি, আরেকটা সিবিআই। ত্রিপুরায় দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে সরকার চাই।সিপিএম-বিজেপির মুখে গণতান্ত্রিক থাপ্পড় লাগান।’’


আরও পড়ুন: Road Controversy: পথের ধারে প্রকল্পের ভাঙা ফলক, কাঁচা রাস্তা হয়নি পাকা, শুরু রাজনৈতিক তরজা