আশাবুল হোসেন, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের পর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এবার দিল্লি চলোর ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইডি (ED), সিবিআই (CBI)-এর তদন্তের প্রসঙ্গ টেনে ফের বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
ধর্না মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসকে তো আপনারা সবাই ভালবাসেন। দেশকে স্বাধীন করার জন্য তিনি একটি স্লোগান দিয়েছিলেন, চলো দিল্লি চলো। এই জুলুম চললে আবার দিল্লি চলো হবে।'
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কার্যত লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কলকাতার ধর্না মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রীর মুখে শোনা গেল 'দিল্লি চলো'র ডাক। বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, 'আজকে তো ছোট্ট একটা ট্রেলার দেখালাম, আগামী দিন দরকার হলে, আমরাই এই আন্দোলন দিল্লির বুকেও সংগঠিত করব। তৈরি থাকুন।'
বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কী ট্রেন দেবে না? ভাড়া দিয়ে ট্রেন নেব। ভিক্ষে করে ভাড়া করে ট্রেনে যাব। আর রিজারভেশন না দাও, তাহলে বিজেপিকে যেদিন দেবে, তারপরের দিন মনে রেখো, এই প্রশ্ন কিন্তু মানুষ করবে। আমরা আগে থেকেই করব, তাও আজ থেকে অপেক্ষা করলাম।'
বিজেপির কটাক্ষ:
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'একবার যান না, প্রথমত ট্রেন ভাড়া দেব না, দিল্লি পুলিশের লাঠি ৬ ফুটের হয়, ওখানে বিনীত গয়াল নয়, অমিত শাহ চালান। একবার অসভ্যতা করে দেখুন না।' বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, 'ধর্নায় বসুন না উনি, ভাইপোকেও সঙ্গে নিয়ে যান। ভাল করে দেখব, কবে ফেরে? ভাইপো তো ভয়ে যাচ্ছেন না দিল্লি, ইডি ধরবে বলে।'
কটাক্ষ সিপিএমের:
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'যেখানে খুশি যেতে পারেন, কিন্তু রাজ্যের অবস্থা খারাপ করে দিয়ে উনি দিল্লি যাওয়ার কথা বলছেন।'
এই বছরেই পঞ্চায়েত ভোট। সামনের বছরেই লোকসভা ভোট। ফলে দিল্লির মসনদের লড়াইয়ের আগে পঞ্চায়েত কাযর্ত সেমিফাইনাল। এর আগে বিজেপি বিরোধী একাধিক দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন মমতা, বৈঠকও করেছেন। দেখা করেছেন নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে। মমতার সঙ্গে দেখা করেছেন অখিলেশ যাদব, ডি কুমারস্বামীর মতো নেতারা।
আরও পড়ুন: আর ১-২ ঘণ্টায় হাওড়া - কলকাতায় তুমুল বৃষ্টি ! ১৪টি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি