কলকাতা : বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনূস। কিন্তু তারপরও অস্থিরতা কাটার কোনও দিশা নেই।  এদিন দুপুরেই প্যারিস থেকে ঢাকায় ফেরেন ইউনূস, রাতেই শপথবাক্য পাঠ করেন। আর তারপরই তাঁকে শুভেচ্ছা জানান নরেন্দ্র মোদি থেকে রাহুল গাঁধী প্রত্যেকেই। এবার ইউনূসকে অভিনন্দন জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। আর্জি জানালেন শান্তি প্রতিষ্ঠার। লিখলেন, ' আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকবো।' 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, ' অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সহ বাংলাদেশে যাঁরা কার্যভার গ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রতি আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো। আশা করি, তাঁদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে। বাংলাদেশের উন্নতি, শান্তি, প্রগতি ও সর্বস্তরের মানুষের আরো ভালো হোক - এই কামনা করি। ওখানকার ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক,  মহিলা থেকে শুরু করে সকলের প্রতি আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।'
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই বাংলাদেশজুড়ে শুরু হয় ধ্বংসলীলা। ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার। ত্রাসের রাজত্ব শুরু হয়। নানা মহল থেকে শান্তি বজায় রাখার আর্জিতে কর্ণপাত করেনি কেউই। এই পরিস্থিতিতে বাড়িয়ে দেওয়া হয় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, মহম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন, 'আশা করি, খুব শীঘ্রই সংকট কেটে যাবে, শান্তি ফিরে আসবে। শান্তি ফিরে আসুক তোমার-আমার এই ভালোবাসার ভুবনে।' 


ভারত - বাংলাদেশ সীমানার অধিকাংশটাই পশ্চিমবঙ্গে। তাই বাংলাদেশ অশান্ত হলেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় এরাজ্যে। সে-কথা মাখায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভালো থাকলে, আমরাও ভালো থাকবো। 


বৃহস্পতিবারই তাঁর শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । তিনি লেখেন, 'নতুন দায়িত্বের জন্য মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা। আশা করি বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।' তিনি আরও লেখেন, 'বাংলাদেশে হিন্দু এবং অন্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশা করছি।'  


এদিকে, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পুলিশ কর্মীদের ওপর একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। বিশেষ করে ঢাকায় বহু থানায় হামলা, ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে খুন হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাই বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো সূত্রে খবর, পুলিশ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও, সেদেশের সিংহভাগ থানাই এখনও চালু করা যায়নি।  এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কবে ফিরবে, সেদিকেই তাকিয়ে ভারত।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন                                        
দলীয় পতাকা, ফুলে শেষ শ্রদ্ধা, পিস ওয়ার্ল্ডে শায়িত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ