কলকাতা: দুদিনের সফরে কলকাতায় রাষ্ট্রপতি। নেতাজি ইন্ডোরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নাগরিক সম্বর্ধনা রাজ্য সরকারের। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে আদিবাসী নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী।
দু’দিনের সফরে কলকাতায় এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রথমদিনই তাঁকে নাগরিক সম্বর্ধনা জানানো হল। এদিন এলগিন রোডে নেতাজির বাসভবন ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ঘুরে দেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। আগামী কাল বেলুড় মঠ ঘুরে শান্তিনিকেতন যাওয়ার কথা রাষ্ট্রপতির।
মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এদিন বলেন, আমি ওঁকে বলব সংবিধানকে রক্ষা করুন। আমাদের দেশে বৈচিত্র্য়ের মধ্য়ে ঐক্য়। সেটা রক্ষা করুন। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর, এই প্রথম দু-দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন রাষ্ট্রপতি। আর প্রথমদিনই দ্রৌপদী মুর্মুর মুখে - জয় বাংলা। আর তাঁর সামনে মুখ্য়মন্ত্রীর মুখে সংবিধান রক্ষার কথা। সোমবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সম্বর্ধনা জানানো হয়। আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে গাইছে তাঁর হাতে ডোকরার দুর্গামূর্তি তুলে দেন মুখ্য়মন্ত্রী।
ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতির সামনে, সাঁওতালি নৃত্য়ের ছন্দে পা মেলান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদাও। একটু নাচের ভিস বেশিক্ষণ রেখো
নাচ দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে হাততালি দিয়ে ওঠেন রাষ্ট্রপতি ও রাজ্য়পাল। মুখ্য়মন্ত্রীর প্রশংসা করেন দ্রৌপদী মুর্মু।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এদিন বলেন, মুখ্য়মন্ত্রীর মানসিকতার প্রশংসা। সব সংস্কৃতিকে সম্মান জানান। এদিন দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে একে একে স্মারক তুলে দেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টরা। এদিনের অনুষ্ঠানে, মুখ্য়মন্ত্রী-রাজ্য়পাল ছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিধানসভার স্পিকার, কলকাতার মেয়র। অনুষ্ঠানে অংশ নেয় কলকাতার ৩ বড় ফুটবল দল, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহামেডান ক্লাবের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতিরা।
দৌপদী মুর্মু এদিন আরও বলেন, দেশে স্বাধীনতায় বাঙালি মণীষীদের অবদান। এত প্রতিভার জন্ম। তালিকা এত দীর্ঘ যে বলা সম্ভব নয়। নেতাজি থেকে রবীন্দ্রনাথ। বঙ্কিম থেকে মাতঙ্গিনী। উৎকৃষ্ট মাটি। শ্য়ামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়ের কথাও বলেন। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত হতেই রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান রাজ্য়পাল।
সেখানে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। এরপর বিমানবন্দর থেকেই রেসকোর্সের উদ্দেশে রওনা দেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান মুখ্য়মন্ত্রী। এদিন দিনভর কর্মসূচি ছিল রাষ্ট্রপতির। দুপুর ১ টা নাগাদ এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাসভবনে যান দ্রৌপদী মুর্মু। ঘুরে দেখেন সংগ্রহ শালা।
যে ঘরে নেতাজি থাকতেন, যে গাড়ি করে বাড়ি ছেড়েছিলেন, সে সবই ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেও যান রাষ্ট্রপতি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্য়বহৃত আসবাবপত্র, সরঞ্জাম, ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল ঘুরে দেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার রাতে রাজভবনে নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি।