আশাবুল হোসেন, শিবাশিস মৌলিক ও সত্যজিৎ বৈদ্য: আগামী ৭ অগাস্ট নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর, দিল্লি (Delhi) সফরে প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) আলাদা বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বাংলায় (West Bengal) ইডি (ED) সক্রিয় হয়ে ওঠায়, গোপন বোঝাপড়ার জন্য দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও (TMC)।


প্রেক্ষাপট


শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে তোলপাড় বাংলা। উদ্ধার কোটি কোটি টাকা, সোনা। ইডির হাতে গ্রেফতার শাসকদলের হেভিওয়েট। আর এই আবহেই অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৭ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক হবে। এবারের দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা বৈঠকের সম্ভাবনা আছে বলে খবর। আর তা নিয়েই ফের তেতে উঠেছে রাজনীতির ময়দান। 


বিরোধীদের অভিযোগ


এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যান ম্যানেজ করতে। যতবারই সমস্যা হয়, উনি ম্যানেজ করতেই যান। এবারও তাই যাচ্ছেন। নীতি আয়োগের বাহানা করে এখন দিল্লি যেতে হচ্ছে মিটিং করতে। মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি-যাত্রা ঘিরে তুঙ্গে রাজনীতি শাসক-বিরোধী চাপানউতোর তুঙ্গে। 


আরও পড়ুন, ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়কের গাড়িতে ৪৯ লক্ষ টাকা! চলছে অর্থের উৎসের খোঁজ 


বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "যখন উনি সংকটে পড়েন, ত্রাহি মধুসূদনম বলে দিল্লি চলে যান। নিজের লোকেরা বিগড়ে যাচ্ছে এইসব দেখতে ভালো লাগে না তাই একটু শান্তির জন্য দিল্লি যাচ্ছেন। যদিও তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, "না গেলে বলে ফেডারেল স্ট্রাকচার হ্যাম্পার হবে, আর গেলে বলে আঁতাঁত, শাঁখের করাত।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের মধ্যেই, আগামী ৬ অগাস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। যদিও তৃণমূল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারা ভোটদানে বিরত থাকবে। এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লিযাত্রার আগেই তাঁকে সিদ্ধান্ত বদলের আবেদন জানিয়ে ট্যুইট, করেছেন ১৭টি বিরোধী দলের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভা। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, বিরোধী ঐক্যের ক্ষেত্রে তৃণমূল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। উপরাষ্ট্রপতি বেছে নেওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে ‘নিরপেক্ষ’ থাকাটা বিরোধীদের কোনও সাহায্যে লাগবে না। বরং তা শুধুমাত্র সুবিধা করে দেবে শাসক দলকেই। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সময় এখনও আছে।  তৃণমূল সাংসদদের তাঁদের বিবেকের কথা শুনে ভোট দিতে দিন।



সূত্রের খবর, এবারের দিল্লি সফরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। দলের সাংসদ ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠকেরও কথা আছে। পাশাপাশি সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিরোধী সাংসদদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন মমতা।