উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কেন্দ্রীয় (Central) বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে দুদিন ধর্না দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ডিএ (DA) নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগে দু'মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। ইতিমধ্যেই ডিএ আন্দোলনকারীদের একদিনের বেতন কেটেছে সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই এবার বড় দাবি করলেন তাঁরা।         


বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘটে অংশ নেওয়ায়, সরকারি কর্মীদের যদি একদিনের বেতন কাটা হয়, তাহলে রেডরোডে দুদিন ধর্না দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীরই বা বেতন কাটা হবে না কেন? তিনিও তো সরকারি কর্মী। এবার এই প্রশ্ন তুলল রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটি। 


বাম কর্মী সংগঠন ও সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে, ডিএ-আন্দোলনে এবার থেকে একযোগে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবে তারা। মুখ্যমন্ত্রীর 'চোর-ডাকাত' মন্তব্য়ের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই ৬ এপ্রিল কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। 


কোঅর্ডিনেশন কমিটি ও  সংগ্রামী যৌথমঞ্চের দাবি, ১০ মার্চের ডিএ ধর্মঘটে যত সংখ্যক রাজ্য সরকারি কর্মী অংশ নিয়েছিলেন, ৬ এপ্রিলের কর্মবিরতিতে তার চেয়েও বেশি সংখ্যক সরকারি কর্মী অংশ নেবেন। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ৬ এপ্রিল দিল্লিতে ধর্নায় বসবে কোঅর্ডিনেশন কমিটি। ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসবেন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের এক হাজার জন্য সদস্য। ১১ তারিখই ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হওয়ার কথা। 


কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি সব ডিপার্টমেন্টকে বলেছি, সব ফাইল খুঁজে বের করুন, খুঁজতে খুঁজতে দেখছেন তো কত বেরচ্ছে... টাকা নিচ্ছে, পেনশন নিচ্ছে, আরও চাই!... সব চাকরি চিরকুটে হয়েছে। সব ফাইল খুঁজে বার করতে বলেছি। যাঁরা আন্দোলনে বসেছেন তাঁদের বেশিরভাগের চিরকুটে চাকরি'। 


আরও পড়ুন, অশান্ত হাওড়া, রাজ্যপালকে ফোন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, ঘটনাস্থলে যেতে পারেন সিভি আনন্দ বোস


এদিকে, বকেয়া DA-র দাবিতে ১০ মার্চ রাজ্যের সব সরকারি অফিসে ধর্মঘটের ডাক দেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। সেই ধর্মঘট রুখতে কড়া বিবৃতি জারি করে নবান্ন। আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট নিয়ে, অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, শুক্রবার অর্থাৎ ১০ মার্চ কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে সামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেইসঙ্গে শোকজ করা হবে। একদিনের বেতন কাটার নির্দেশও দেওয়া হয়। অর্থ দফতরের কাছে কর্মীদের তালিকাও পাঠিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।