কাকদ্বীপ : ঘটনার ঘনঘটায় টানা ৫০ দিন। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে শুরু হয়ে কার্যত গোটা বাংলা চষে শুক্রবার কাকদ্বীপে থামল তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা (Nabojoyar Jatra)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে রাজ্যের শাসকদলের যে জনসংযোগ যাত্রার শেষদিনে হাজির ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যেখানে বক্তব্য রাখার শেষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বিশেষ উপহারও তুলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 


বিশেষ পুরস্কার হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের হাতে তুলে দেন এক পারিবারিক ছবি ! তবে সেই ছবিটি শুধু পারিবারিক নয়, রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ১৯৯০ সালে আক্রান্ত হওয়ার পর মাথায় মোটা ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় বাড়িতে বসে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে নিজের ঠাকুমার কোলে বসে রয়েছেন ছোট্ট অভিষেক। যিনি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। 


নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি পোস্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি 'দিদি'কে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও ঘটনাপ্রসঙ্গে বলেছেন, সিপিএম মেরে মাথা চৌচির করে দেওয়ার পর বাড়িতে ফিরলে মা গোটা ঘটনা জানতে চেয়েছিল। তখন মায়ের কোলে বসেছিল অভিষেক।






এদিকে, নবজোয়ার যাত্রায় শেষদিনে একযোগে বিরোধীদের নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য 'সিপিএম আমলে কেউ মনোনয়নই দিতে পারতেন না। আজ জেলা পরিষদের আসনে ১০০ শতাংশ মনোনয়ন হয়েছে, এটাই পরিবর্তন'। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'ভাঙড়ের ঘটনায় তৃণমূলের কোনও হাত নেই। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি একটা অপদার্থ দল। ওদিকে সিপিএম যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন শুধু মানুষ মেরেছে। এখন বিজেপির থেকে টাকা নিতে হবে, মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে হবে'। 


প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহারের দিনহাটা থেকে শুরু হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার যাত্রা। ৫০ দিন পরে শুক্রবার যা থামল কাকদ্বীপে।                    


আরও পড়ুন- একজন বিধায়কের বড় বড় কথা, নাম না করে নৌশাদকে নিশানা মমতার