আশাবুল হোসেন, নয়াদিল্লি : পার্থকাণ্ডের মধ্যেই আজ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী সাক্ষাৎ। বিকেল সাড়ে ৪টেয় সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে (  PMO )  এই বৈঠক হবে। এনিয়ে ফের আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস। যদিও, তা মানতে নারাজ তৃণমূল ও বিজেপি।


কী কী বিষয় আলোচ্য 
রাজ্যের দাবি, এই মুহূর্তে বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রের কাছে প্রায় ৯৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা। পাশাপাশি, বিভিন্ন প্রকল্পের নামকরণ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত চলছে। তার জেরে কার্যত থমকে বাংলা আবাস যোজনা ও সড়ক যোজনার কাজ। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর ( Narendra Modi )  সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ( Mamata Bnerjee ) আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর সন্ধে সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ( Droupadi Murmu ) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আঁতাঁতের অভিযোগ বাম-কংগ্রেসের 
দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠকের নেপথ্যে আঁতাঁত দেখছে সিপিএম। তাদের দাবি, অতীতে, সারদাকাণ্ডে সিবিআই যখন একের পর তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করেছে তখনই দিল্লি গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায়, ইডি-তদন্তের আবহে ফের দিল্লিতে শুক্রবার মোদি-মমতা বৈঠক । তৃণমূল এবং বিজেপি অবশ্য আঁতাঁতের অভিযোগ মানতে নারাজ। 


সময় চেয়েছে বঙ্গ বিজেপি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের ঠিক আগে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন সুকান্ত মজুমদার। দিল্লিতে শুক্রবার মমতা-মোদির সাক্ষাতের পর ফের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। 


বৃহস্পতিবার দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই বৈঠকে ওঠে ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেফতারি প্রসঙ্গ।  সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ' সরকার ফেলতে বিধায়ক কেনাবেচা হয়। হাওড়ায় কংগ্রেস বিধায়কদের গ্রেফতারির পরে প্রমাণ করেছে বাংলা। হর্স ট্রেডিং বড় অপরাধ। একমাত্র ধরেছে বাংলাই। ' 
শনিবার রাতে হাওড়ার পাঁচলায় ঝাড়খণ্ডের একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক সহ ৫ জনকে। 
কংগ্রেস অভিযোগ করে, ঝাড়খণ্ডের JMM-কংগ্রেস জোট সরকার ফেলার জন্য চক্রান্ত করছে বিজেপি। CID সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, ঝাড়খণ্ডের সরকার ভাঙার খরচ হিসেবেই এই টাকা দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস বিধায়কদের।