জয়নগর: জয়নগরে এবার খুলবে মোয়ার হাব। প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জানালেন, জয়নগরের মোয়া ইতিমধ্যেই GI পণ্যের তকমা পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী খ্যাতি হয়েছে জয়নগরের মোয়ার। তাই এবার জয়নগগরে মোয়ার হাব তৈরি করা হবে, যাতে একই জায়গা থেকে সব ধরনের মোয়া কিনতে পারেন গ্রাহকরা। জয়নগর থেকে নেতারা মোয়া পাঠালেও, মোটা হবেন বলে তিনি তা খেতে পারেন না বলেও এদিন জানান মমতা। (Mamata Banerjee)


সাগর সফর সেরে মঙ্গলবার জয়নগরে প্রশাসনিক সভায় যোগ দেন মমতা। সেখানেই জয়নগরের মোয়ার প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখে। তিনি জানান, জয়নগরে তিনি আজ এসেছেন কারণ, জয়নগরের বিধায়ক তাঁকে প্রচুর মোয়া পাঠান। তিনি নিজে সেগুলি খেতে পারেন না মোটা হয়ে যাবেন বলে। তাই অন্যদের দিয়ে দেন। বারুইপুর থেকে ফলও যায় তাঁর কাছে। তিনি তা সবই দিয়ে দেন বলে জানান। মমতা জানান, তিনি সকালে শুধু চা আর সামান্য খান, তার পর রাতের খাবার খান। (Jaynagarer Moa)


জয়নগরের মোয়া GI পণ্যের শিরোপা পেয়েছে, তাই কারিগরদের এদিন অভিনন্দনও জানান মমতা। তিনি বলেন, "জয়নগরের মোয়া GI পণ্য হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত হয়েছে জয়নগরের মোয়া। তাই মোয়া তৈরির কারিগর, যাঁরা মোয়া বিক্রি করেন, তাঁদের বলি জয় হোক, জয় হোক, জয় হোক। জয় হে, জয় হে, জয়হে। জয়নগরে একটা মোয়ার হাব তৈরি করছি ২.৫ কোটি টাকা। এর ফলে যত মোয়া, সব এক জায়গা থেকে পেয়ে যাবেন আপনারা।"


আরও পড়ুন: Ram Mandir: ৯০-র পুরস্কার এল চব্বিশে ? রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্র পেলেন আসানসোলের ব্যবসায়ী


এর পাশাপাশি, সুন্দরবনের মধুর GI প্রাপ্তির কথা জানিয়েও সকলকে অভিনন্দন জানান মমতা। বলেন, "সুন্দরবনের মধু...সুন্দরবনের পণ্যের নাম সুন্দরিণী রেখেছিলাম আমি। আজ সুন্দরিণী মধুও বিশ্ববিখ্যাত হয়েছে, GI হয়েছে। মৌমাছি, বোলতার কামড় খেয়ে যাঁরা মধু সংগ্রহ করেন, সেগুলিকে খাবার যোগ্য করে তোলেন, তাঁদের অভিনন্দন। মধু শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল। আপনাদের জেলার মুকুটে দু'দুটি স্বর্ণপালক সংযোজিত হল।"


জায়গা বিশেষে বিখ্যাত পণ্যগুলিকে ভৌগলিক ভাবে চিহ্নিকরণকে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বা GI বলে।  এর আওতায় মেধাস্বত্ব হাতে আসে। ফলে কারিগরদের ঠকানো যায় না। এমনকি চ্যুতি-বিচ্যুতি হলে কারিগররা আইনি পদক্ষেপ করতে পারেন। পণ্য রফতানির ক্ষেত্রেও এই GI প্রাপ্তি সহায়ক।  বাংলা-সহ গোটা দেশের এমন একাধিক পম্য রয়েছে, যেগুলি একটি বিশেষ অঞ্চলেই তৈরি হয় এবং সেখানকার পণ্য হিসেবেই খ্যাতি।