ঝাড়গ্রাম : দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল কর্মীর মুখে 'জয় বাংলা' স্লোগান শুনে সম্প্রতি মেজাজ হারিয়েছিলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্লোগান শুনেই নেমে আসেন গাড়ি থেকে। তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, তাঁকে মারধর করেন শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষীরা। আর এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি আকচা আকচি। এবার সেই 'জয় বাংলা' স্লোগানকেই মোবাইলের রিংটোন-কলারটিউন সেট করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ঝাড়গ্রামের সভা থেকে তিনি বললেন, "কেউ ফোন করলেই ফোন তুলে বলবেন, জয় বাংলা, বলুন। রিংটোন, কলারটিউনে সব জয় বাংলা করে নেবেন। কেউ উল্টোপাল্টা কিছু করতে এলে, ভয় দেখাতে এলে, আর অফিসারদের ভয় দেখাতে এলেও (যদি তাঁরা অন্যায় না করে থাকেন), মনে রাখবেন আমাদের অফিসারদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে।"

দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল কর্মীর মুখে জয় বাংলা স্লোগান শুনে দিন কয়েক আগে মেজাজ হারান রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্লোগান শুনেই নেমে আসেন গাড়ি থেকে। তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, তাঁকে মারধর করেন শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষীরা। আর এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি আকচা আকচি। জয় বাংলা স্লোগান শুনেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন শুভেন্দু । ওই ব্য়ক্তির দিকে এগিয়ে যান...তারপর শুরু হয় জয় বাংলা বনাম জয় শ্রীরাম স্লোগানের যুদ্ধ।  

এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, "ক্ষ্যাপা মোষ শুভেন্দুকে দেখুন ! নিজের মাতৃভাষার নামে জয়ধ্বনি যে সহ্য করতে পারে না, সে তো জাতির কুলাঙ্গার ! তার উপর নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের লেলিয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করতে ! করা যায় ?"

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে মারধর করানো এবং মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গত বুধবার রাতে আরামবাগ শহরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।

এর আগে ২০২২ সালে নিজের খাসতালুক কাঁথিতে শুভেন্দুকে দেখে 'জয় বাংলা' স্লোগান তুলেছিল তৃণমূল। শুভেন্দুর সামনেই পরপর স্লোগান ওঠে, 'জয় বাংলা, মমতা জিন্দাবাদ, অভিষেক জিন্দাবাদ'। চুপ করে ছিল না বিজেপিও। দলের নেতার সামনে তৃণমূলকে স্লোগান দিতে দেখে পাল্টা স্লোগান ওঠে, 'জয় শ্রীরাম, ভারত মাতা কি জয়, শুভেন্দু অধিকারী কি জয়।' 

ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সঙ্গে ছিলেন বিপুল সংখ্যক বিজেপি কর্মী, সমর্থক। ঠিক তখনই তৃণমূলের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বক্স বাজিয়ে দেওয়া হয় বলে বিজেপির অভিযোগ ছিল। শুভেন্দুকে দেখে স্লোগান দিতে থাকেন শাসকদলের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা স্লোগান তোলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরাও। কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতে, তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে প্রণাম জানিয়ে চলে যান শুভেন্দু অধিকারী। এরপরেও বিভিন্ন সময়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শুভেন্দু।