কলকাতা: উনিশে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র (I.N.D.I.A) বৈঠক আর বিশে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ (Mamata-Modi Meeting)। একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে আজই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দুপুরের বিমানে রওনা হবেন রাজধানীর উদ্দেশে(Delhi)।


মঙ্গলবার বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার আগে আগামীকাল দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সকাল ১১টায় সংসদ ভবনে বৈঠক। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক যোজনা-সহ কেন্দ্রের কাছে ১ লক্ষ ১৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য। প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের দাবি-দাওয়া পেশ করবেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)।


মূলত একের পর এক আন্দোলন, রাজধানীর বুকে ধর্না, বাদ যায়নি কিছুই। তার পরও ১০০ দিনের কাজের (MGNREGA Scheme) বকেয়া মেলেনি। সেই নিয়ে এবার নিজে দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান তিনি। মমতা জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজ (100 Days Work), সড়ক এবং আবাস যোজনাবাবদ বকেয়া ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা চাইবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে, যার মধ্যে ১০০ দিনের কাজেরই প্রায় ৫.৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।


প্রসঙ্গত, গতবছর প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী  বৈঠকের পর দিনই রাজ্য সরকারের (state government) বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে (narendra modi) চিঠি (letter) লিখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। চিঠিতে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, রাজ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (central projects) নাম পরিবর্তন এবং আর্থিক দুর্নীতি (financial irregularity) হয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক পরিবর্তিত নামের যে তালিকা দিয়েছিলেন তাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জল যোজনা মিশন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, ওয়াটার শেড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ও ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন-সহ ৭টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা ছিল।


আরও পড়ুন, শীতের সকালে সবে পেয়ালায় চুমুক, আচমকাই দাউদাউ আগুন হাওড়ার চায়ের দোকানে


বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ রাজ্য সরকার ঠিক ভাবে ব্যবহার করছে না। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামও বদলানো হচ্ছে। পাঁচ পৃষ্ঠার চিঠিতে এই নিয়ে বিশদ অভিযোগ জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রী যখন দিল্লিতে, তখনই চিঠিটি লিখেছিলেন বিরোধী দলনেতা। আর এবার ইতিমধ্যেই একটা বছর পা হয়ে গিয়েছে। তার উপর এবার একেবারে লোকসভা ভোটের আগে মোদি-মমতা সাক্ষাৎ। তাই স্বাভাবিকভাবেই চাপানউতোর চলছে রাজনৈতিক মহলে।