শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আজকে টাকা নেই, পয়সা নেই, তাও কারও মাইনে বন্ধ হয়নি। সরকারি কর্মীরাও আমার বন্ধু। সরকারি কর্মীরা ভাল থাকলে, আমরাও ভাল থাকব।


মমতা (Mamata Banerjee) আরও বলেন, 'পেনশন (pension) শুধুমাত্র বাংলার সরকার দেয়, আর সবাই তুলে দিয়েছে। রাজ্যের টাকা-পয়সা নেই, তারও কারও কি টাকা বন্ধ হয়েছে ? ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, আমরা নিজেদের টাকায় কাজ করছি। রাস্তার টাকাও দিচ্ছে না কেন্দ্র। মনে রাখবেন লোভেই সর্বনাশ হয়। সরকারি সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প বিনা পয়সায় মেলে। কেউ টাকা চাইলে দেবেন না'। 


প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ ইস্যু (DA Hike) নিয়ে উত্তাল হয়েছে রাজ্য। সরকারি কর্মীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এই প্রেক্ষিতে এদিন মমতা বলেন, 'আজ থেকে বাইরে কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। কেউ রাস্তায় বসে পড়ল, আর পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে পারল না, তার দায় কে নেবে? বাংলায় বন‍্ধের সংস্কৃতি উঠে গিয়েছে। পরিষ্কার করে বলছি, কোনও বন‍্ধ হবে না। আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে, কিন্তু কোনও বন‍্ধ চলবে না। ২৩ তারিখ থেকে পরীক্ষা আছে, কেউ বন‍্ধ করলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে। বাংলায় কোনও বন‍্ধ হবে না। কারখানা চলবে, রাস্তা সচল থাকবে' । 


এদিকে, বকেয়া DA-র দাবিতে কর্মবিরতির আজ দ্বিতীয় দিন। রাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সরকারি অফিসে টানা ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় আন্দোলনকারীরা। গতকালও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মবিতরিতে সামিল হন কর্মীদের একাংশ। এদিকে ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সামনে বকেয়া DA-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন ২৬দিনে পড়ল।            


আরও পড়ুন, 'দুয়ারে সরকারে আরও ২ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হল', ঘোষণা মমতার


মঙ্গলবার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনেও চলল সরকারি কর্মীদের একাংশের অবস্থান-বিক্ষোভ। ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে পাল্টা পথে নামলেন তৃণমূলপন্থী রাজ্য সরকারি কর্মীরা। দু-পক্ষের স্লোগান শাউটিংয়ে সাময়িক উত্তেজনাও ছড়ায়। এদিন সকাল থেকেই খাদ্য ভবনের সামনে, কর্মবিরতির সমর্থনে প্রচার শুরু করেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মীরা। ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতিতে সামিল হন, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির যৌথ মঞ্চও। 


সোমবারের মতো এদিনও দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে সামিল হয়ে একাংশ পেনডাউন করলেও, আরেক অংশ এদিন অন্যান্য দিনের মতোই কাজ করেন।