কলকাতা: বিধানসভায় বেনজির ঘটনা। কিল, ঘুষি, হাতাহাতি, নাক ফাটা... তৃণমূল (TMC)-বিজেপি (BJP) বিধায়কদের তুমুলকাণ্ডে আজ যেন লজ্জিত হল গণতন্ত্র। এদিকে পাঁচ দিনের উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনও রকম মন্তব্য করতে চাননি।
জিটিএ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি কিছু বলব না, সেটা স্পিকারকে জিজ্ঞাসা করুন। সেটা তাঁর বিষয়।"
এদিকে আজ বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিধানসভা চলছে, অথচ রামপুরহাট নিয়ে কেন যাবতীয় সরকারি ঘোষণা বাইরে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? একইসঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার দাবি করেন তিনি।" সেই সময় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আলোচনার জন্য আপনারা কোনও নোটিস দেননি। আর, অধিবেশনের শুরু থেকে প্রতিদিনই আপনারা চিত্কার-চেঁচামেচি করে ওয়াকআউট করছেন। অধিবেশনের শেষ দিনে, কেন এই কথা বলছেন?"
আরও পড়ুন, ‘মারা গেছে তৃণমূলের উপপ্রধান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ছিল পুলিশ’, রামপুরহাটকাণ্ডে সুর চড়ালেন সুকান্ত
এরপরই, বিজেপির আবেদন খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় অধ্যক্ষকে ঘিরে বেষ্টনী তৈরি করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময়, তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি বিধায়ককদের। তারপরই, তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়করা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে, পাহাড়ে গিয়ে জনসংযোগ সারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবারের মতো এবারও তিনি সিংমারী, চৌরাস্তা, ম্যাল-সহ পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরেন। হাঁটতে হাঁটতে কথা বলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এখন পর্যটন মরশুম চলছে। পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড়। ব্যবসা ভালো হওয়ায় খুশি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। মুখ্যমন্ত্রীকে সে কথা জানান তাঁরা। হাঁটতে বেরিয়ে দেখা হয় এক মহিলার সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের প্রয়োজনের কথা জানান ওই মহিলা। প্রয়োজন মেটানোর জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুদের আদর করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতে তুলে দেন চকোলেট।