কলকাতা: টাটাদের সিঙ্গুর ত্যাগের পর বাংলায় শিল্পক্ষেত্রের ক্ষতি নিয়ে এখনও আক্ষেপ শোনা যায় কান পাতলে। এরই মধ্যে দেউচা পাঁচামি (Deucha pachami) নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার ক্যাবিনেট বৈঠকের পর তিনি বলেন, তৎকালীন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সঙ্গে দেউচা পাঁচামির জমি নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। জোর করে কোনও জমি নেওয়া হচ্ছে না। যারা সানন্দে জমি দিতে চাইবেন সেই জমি নেওয়া হবে। জোর জবরদস্তি করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না।
এদিন কী কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
- ‘অকারণে ফাইলে সই করতে দেরি করছেন রাজ্যপাল’
- ‘কিছু করতে গেলেই কয়েকজন বাধাদান করছেন’
- ‘দেউচা পাঁচামি হলে লক্ষাধিক ছেলেমেয়ের চাকরি হবে’
- ‘সরকার অনেক টাকা খরচ করবে’
- ‘কিছু খাদান মালিক টাকা দিয়ে লোক এনে এসব করাচ্ছে’
- ‘ওই খাদান মালিকরা এসব চান না’
- ‘আমরা দেউচা পাঁচামিতে কাউকে বঞ্চিত করছি না’
- ‘জমির বদলে জমি, বাড়ির বদলে বাড়ি দেওয়া হচ্ছে’
- বাড়ি করতে ৫ লক্ষ টাকা প্যাকেজ দেওয়া হবে’
- ‘বাড়ি করার জন্য দেওয়া হচ্ছে ৭ লক্ষের আর্থিক প্যাকেজ’
- ‘দেউচা পাঁচামিতে প্রতি পরিবার থেকে দেওয়া হবে চাকরি’
- ‘রাজ্য এখানে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে’
- ‘দেউচা পাঁচামি হলে ১০০ বছর কোনও বিদ্যুত্ সঙ্কট হবে না’
- ‘চাকরি-বাড়ি-জমি সব কিছুই দেওয়া হবে’
- ‘আমি চাই দেউচা-পাঁচামিতে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের চাকরি হোক’
- ‘কেউ কেউ ওখানে গিয়ে মিথ্যা প্রচার করছেন’
- ‘এটা বাংলার নিজস্ব শিল্প, ১ লক্ষের চাকরি হবে’
প্রসঙ্গত, এর আগেই দেউচা-পাঁচামি প্রকল্পে ৫ হাজার ১৩৯ পদে নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দেউচা পাঁচামি প্রকল্প গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।