কোটা, রাজস্থান: ধূমধাম করে ছেলের বিয়ে দিতে বেরিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু গাড়ি সমেত চম্বল নদীতে (Chambal River) পড়ে হবু বর সমেত ন’জনের মৃত্যু হল। রাস্তা হারিয়ে একটি নীচু সেতুর উপর দিয়ে নদী পেরোচ্ছিল গাড়িটি (Car Falls into River)। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি চম্বল নদীতে পড়ে যায়। গাড়ির মধ্যেই দমবন্ধ হয়ে মারা যান সকলে।
রাজস্থানের (rajasthan News) কোটায় (Kota Groom dead) এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার বিকেলে সাওয়াই মাধোপুর থেকে উজ্জ্বয়নের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বরযাত্রীর দল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এসইউভি গাড়িতে ছিলেন হবু বর অবিনাশ, তাঁর দাদা কেশব এবং বন্ধু-বান্ধবরা। অন্য একটি বাসে ছিলেন বাকি বরযাত্রী। কিন্তু বাসের থেকে পিছিয়ে পড়েছিল এসইউভি গাড়িটি। মাঝপথে সেটি রাস্তাও হারিয়ে ফেলে।
তার ফলে চম্বল নদীর উপরে একটি উঁচু সেতু দিয়ে বেরিয়ে যায় বরয়াত্রীর বাস। রাস্তা খুঁজতে খুঁজতে একটি নীচু সেতু ধরে এগোতে থাকে এসইউভি গাড়িটি। সেই সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। তার ফলে সেতু থেকে ২০ ফুট গভীর চম্বল নদীতে পড়ে যায় গাড়িটি। তাতে সকলের মৃত্যু হয়। বিয়ের আয়োজনে ব্যস্ত কনের পরিবারের কাছে সেই দুঃসংবাদ পৌঁছলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ধকার নেমে আসায় অনেক ক্ষণ দুর্ঘটনার কথা জানতেই পারেননি কেউ। গাড়ির কাচ এবং দরজা বন্ধ থাকায় কেউ বেরোতে পারেননি। ফলে দমবন্ধ হয়ে গাড়ির ভিতরই মৃত্যু হয় সকলের। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এর পর ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধারকার্য চালানো হয়। তাতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে ন’জনের দেহ উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয় পুলিশের পক্ষে। হবু বর, তাঁর দাদা, গাড়ির চালক এবং বরওয়াড়া এলাকার ছয় বাসিন্দা ছিলেন ওই গাড়িতে।
কনের তরফের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, সময় পেরিয়ে গেলেও বর এসে পৌঁছননি। এর পর বরের পরিবারের তরফে ফোন আসে তাঁদের কাছে। তখনই দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেন তাঁরা। তা জানার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কনে। তাঁর মা-বাবা কোটা গিয়েছেন, যাতে এই দুঃসময়ে ছেলেটির পরিবারের পাশে থাকতে পারেন।