কলকাতা: আরজি করের চিকিৎসক ধর্ষণ খুনে উত্তাল বাংলা। যার আঁচ পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এবার রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীর কথা উঠে এল কামদুনি প্রসঙ্গ। তিনি বললেন, "কামদুনিতে আমাদের দিক থেকে কোনও ত্রুটি ছিল না, হাইকোর্ট ফাঁসি মকুব করে দেয়।"


কী ঘটেছিল কামদুনিতে? 


মাঝে কেটে গেছে ১১টা বছর। কলেজ পড়ুয়া মেয়ের বিকৃত হয়ে যাওয়া মৃতদেহ দেখার যন্ত্রণা আজও ঘুমোতে দেয়না ওদের। আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের বীভৎসতা উস্কে দিয়েছে কামদুনির স্মৃতি। তাঁকে তো এভাবেই যন্ত্রণাকেও মরতে হয়েছিল। ক্ষতবিক্ষত হয়ে হয়েছিল শরীর। কামদুনিকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তাঁরাও শুনেছিলেন দ্রুত বিচার, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট, কঠোর শাস্তির মতো নানা প্রতিশ্রুতি। 


মুখ্য়মন্ত্রীর কথায় কামদুনি প্রসঙ্গ: ২০১৩ সালের ৭ই জুন কামদুনির কান্না নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্য়কে। পাঁচিলঘেরা এই ফাঁকা জমি থেকে উদ্ধার হয় এক কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহ। গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনার প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল রাস্তায়। এখন যেমনটা আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় হচ্ছে। ২০১৩-র ১৭ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কামদুনিতে যান। আশ্বাস দেন দ্রুত বিচারের। ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর কামদুনিকাণ্ডে ৩ আসামীর ফাঁসির সাজা মকুব করে কলকাতা হাইকোর্ট। ফাঁসির বদলে ২ দোষীর আমৃত্য়ু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তথ্য় প্রমাণের অভাবে একজনকে বেকসুর খালাস করতে হয় হাইকোর্টকে। এবার সেই প্রসঙ্গ উঠে এল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। 


এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার থেকে আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। আর বুধবারই তাদের দিকে কার্যত পাল্টা চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় নাম না করে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর আক্রমণের সিংহভাগজুড়ে রইল সিপিএম। টেনে আনলেন ১৯৯০ সালে বানতলায়ধর্ষণের প্রসঙ্গ। রাহুল গাঁধী যখন চিকিৎসক খুনের ঘটনায় সরাসরি প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছেন, তখন পাল্টা কংগ্রেসকেও ছাড়লেন না মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। 


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Doctor's Protest: 'আগে দরকার চিকিৎসকদের সুরক্ষা' আন্দোলনকারীদের পাশে রোগী ও পরিজনরা