কলকাতা: বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার কায়দায় নেপালে গণবিদ্রোহ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। প্রবল চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা। জনরোষে জ্বলছে নেপাল। কাঠমাণ্ডুতে ফের নতুন করে উত্তেজনা। সেনা প্রধানের পরামর্শের পর পদত্যাগ কে পি ওলির। ইতিমধ্যেই নেপালের সংসদ ভবনে ভাঙচুর চলছে, আগুনও লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের বাড়ির দখল নিয়ে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর এদিন উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রতিবেশী ভাল থাকলে আমরাও ভাল থাকব কেউ যেন অশান্তিতে জড়িয়ে না পড়েন নেপাল নিয়ে যা বলার কেন্দ্র বলবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালকে আমরা ভালোবাসি'

উপপ্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ইস্তফার পরেও ক্ষোভের আগুন জ্বলছেই সেখানে। এখনও পর্যন্ত ১০ মন্ত্রী পদত্যাগ করেছে কাঠমাণ্ডুতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি বিক্ষোভকারীদের নেপালে কমিউনিস্ট পার্টির অফিসেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বর্তমানে হাতের বাইরে পরিস্থিতি, বিক্ষোভকারীদের রুখতে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নোট বৃষ্টি

দুর্নীতি, বেকারত্বের প্রতিবাদে পথে যুব সমাজ সোশাল মিডিয়া ব্যান ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত সোশাল মিডিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরেও বিক্ষোভ কাঠমাণ্ডুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কার্ফু জারি হয়েছে কাঠমাণ্ডু এয়ারপোর্টে বন্ধ রয়েছে আন্তর্জাতিক উড়ান।                                 

এদিকে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জেরে ভারত নেপাল সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাইঅ্যালার্ট। ভারতীয়দের সতর্ক থাকলে বলল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক পরামর্শ, 'গতকাল থেকে নেপালে যা ঘটছে, আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি নেপালে নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা নেপালের বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে ভারতে আশা, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে নেপালে থাকা ভারতীয়রা সতর্ক থাকুন'

বিক্ষোভ প্রসঙ্গ

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্য়াপ, X হ্যান্ডেল-সহ ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, এই নিষেধাজ্ঞা আদতে সোশাল মিডিয়ায় নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে সরকার। সোমবার সকালে রাজধানী কাঠমান্ডুর বাণেশ্বর এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে নেপালের সংসদে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীদের একাংশ। প্রতিবাদীদের দমন করতে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি