কলকাতা : TMCP-র সমাবেশ মঞ্চে জোর নিশানা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা বড় বড় কথা বলেন, আর রোজ আদালতে গিয়ে নিয়োগে বাধা দেয়, ভর্তিতে বাধা দেয়.. আমি দুঃখিত , জয়েন্টের রেজাল্ট একটু দেরিতে বেরিয়েছে, এর জন্য আমাদের দোষ নেই। যারা কোর্টে কেস করে, তারা কোর্টে একসঙ্গে কেস করে, আবার এসে আমাদের নামে নিন্দা করে।এরা দুনম্বরি। একদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট আটকায়, অন্যদিকে গিয়ে বলে , তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জবাব দাও। আমি বলি তোরা আগে জবাব দে। এসো রাজনীতিতে লড়াই করো। তোমরা ব্যাকডোরে লড়াই করে নিয়োগ আটকে রাখো।'

আরও পড়ুন, RG কর মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ

এদিন তিনি আরও বলেন, 'এত বিরোধিতা সত্ত্বেও রাজ্যের আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৫ গুন। ২০১৩ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার ওপরে নিয়ে এসেছি। শীঘ্রই সংখ্যাটা ২ কোটি হয়ে যাবে। সেই মেধাই আসল মেধা, যারা রাস্তা গড়ে, যারা সমাজ গড়ে। শিক্ষার পরিকাঠামো গড়তে আমরা ৬৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। এই টাকায় স্কুল, কলেজ, আইটিআই, পলিটেকনিক কলেজ তৈরি হয়েছে। বিনামূল্যে বই, মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের কন্যাশ্রী গোটা পৃথিবীর মডেল হয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্যাশ্রী দেওয়া হয়। ইউজিসি গ্রান্ট বন্ধ করেছে কেন্দ্র, সেই টাকা আমরা দিই। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল বের হতে দেরি হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ফল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

'শুধু বাম-বিজেপির সঙ্গে আমাদের লড়তে হয় না। আরও অনেক শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হয়। আমাকে শিখিয়ে লাভ নেই, আমি অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। কে কেমন ছিলেন, তা নিয়ে একটা বইও লিখব। আমরা অনেক কর্মসংস্থান করেছি, এটা নীতি আয়োগই বলছে। ৪০ শতাংশ বেকারত্বের হার আমরা কমিয়েছি। বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি ২৭ হাজার কোটি টাকায় তৈরি হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজে পরপর চার-পাঁচ বছর আমরা ১ নম্বরে ছিলাম। রাস্তা নির্মাণে আমরা এক নম্বরে ছিলাম। যারা সেলফিশ জায়েন্ট হাইলোডেড ভাইরাস, তারা টাকা বন্ধ করেছে', বাম-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের।

(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)