অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: নববর্ষে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কাছে এসএমএসে পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা। কিন্তু সেই শুভেচ্ছাবার্তা গ্রহণই করলেন না ডিএর দাবিতে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। নববর্ষের দিনেও শহিদ মিনারের ধরনামঞ্চ থেকে বকেয়া ডিএর দাবিতে অনড় তাঁরা।
প্রতিবছরই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কাছে পৌঁছে যায় নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তা। ফোনে যায় মেসেজ। কিন্তু এবারের নববর্ষটা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের কাছে একেবারে আলাদা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধরনা, আন্দোলনের আবহে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা গ্রহণ করলেন না সরকারি কর্মচারীরা।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চর ডিএ আন্দোলনকারী অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, 'আমরা এই শুভেচ্ছা প্রত্যাখ্যান করছি। জুতো মেরে গরু দান।'
কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকারকে কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১৭ এপ্রিলের মধ্য়ে মুখ্যসচিব, অর্থসচিব সহ পদাধিকারীদের, কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। ১৫ এপ্রিল পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনও আলোচনায় বসার আহ্বান জানায়নি রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন, বর্ধমানের জাগ্রত দেবী তিনি, এই সর্বমঙ্গলা মন্দিরেই পুজো দিয়ে বছর শুরু করেন বর্ধমানবাসী
এর মধ্যেই গত সপ্তাহে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি পালন করে এসেছেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের প্রায় ৫০০ জন সদস্য। নিজেদের দাবি আদায়ে ধর্নার পাশাপাশি, তাঁরা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে স্মারকলিপিও।
কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে, রাজধানীর যন্তর মন্তরে চলছে DA-ধর্না। কেন্দ্রীয় সরকারের হারে বকেয়া DA-এ ছাড়াও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ এবং স্বচ্ছভাবে শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে সরব হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এত কম সময়ে রাষ্ট্রপতি-সাক্ষাতের সময় পাওয়া সম্ভব নয়। তাই ই-মেল করে ডেপুটেশন দেওয়া হবে।আজ উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে DA-আন্দোলনকারীদের। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাইরে থাকায়, তাঁর মন্ত্রকেও ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কর্ণাটকে রয়েছেন, তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের আজ যন্তর মন্তরের ধর্না-মঞ্চে আসার কথা রয়েছে বলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে।