দার্জিলিং  :  ‘পাহাড় উন্নয়ন চায়, শান্তি চায় ... সেই কারণেই পাহাড় জিটিএ চায়’। মঙ্গলবার পাহাড়ে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  দার্জিলিঙে ম্যাল চৌরাস্তার অনুষ্ঠানে পাহাড়ের মানুষের জন্য একগুচ্ছ সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করলেন, আগামীদিনে শিল্প থেকে শিক্ষা, সবক্ষেত্রেই প্রচুর  উন্নয়ন হতে চলেছে রাজ্য সরকারের হাত ধরে। শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে সেজে উঠেছে পাহাড়। জিটিএ-র রাশ হাতে নিলেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রধান অনীত থাপা।

  
 জিটিএকে ৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি: মমতা
মঙ্গলবার শৈলশহরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আগে দেখিনি’। পাহাড়ের মানুষের জয়গান গেয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ' পাহাড়ের মানুষ যা করতে পারেন, অনেকেই পারেন না’। 
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘গত ১০ বছরে আমরা জিটিএকে ৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি, পাহাড়ে শান্তি থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে’। কথা দিলেন , পাহাড়ে যাঁরা ফুটপাথে ব্যবসা করেন, তাঁদের দোকান তৈরি করতে সাহায্য করবে সরকার। দার্জিলিঙে নতুন শহর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, হাব, শপিং মল, রেস্তোরাঁ তৈরি হবে। পাশাপাশি উন্নয়নের হাসি হাসবে কালিম্পং, কার্শিয়ঙও। 
শৈলশহরের অন্যতম আকর্ষণ মিরিকের জন্য ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন :


' এভাবে হিন্দুদের অপমান করা যায় না ' কালী-মন্তব্যে মহুয়াকে একহাত নিলেন শুভেন্দু


মংপুতে হিল ইউনিভার্সিটি তৈরি হচ্ছে : মমতা
পাহাড়ের মানুষরা অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য নেমে আসেন সমতলে। তাঁদের অনেকেই চান হোম টাউনে থেকে পড়াশোনা করতে। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন,  মংপুতে হিল ইউনিভার্সিটি তৈরি হচ্ছে। 
দার্জিলিঙে শিল্পের প্রচুর সম্ভাবনা আছে, সেগুলি বাস্তবায়িত করতে হবে, বললেন তিনি। জানালেন, দার্জিলিঙের চা বাগানে হোমস্টে করার পরিকল্পনা রয়েছে। আইটি ইন্ডাস্ট্রির জন্য দার্জিলিং সবথেকে ভাল জায়গা। আপনারা শান্তি বজায় রাখলে আইটি ইন্ডাস্ট্রিকে দার্জিলিঙে আসতে অনুরোধ করব। 
পাহাড়ে ২০২৪-এর মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার, প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর। চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি আমাদের সরকার বাড়িয়ে দিয়েছে। শৈলশহরে তৈরি হচ্ছে পানীয় জলের প্লান্ট। 
 বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরবেন তিনি।