কলকাতা: গরুপাচার মামলায় সেই কবে থেকে জেলে তিনি। তার পর থেকে নিত্যনতুন অভিযোগ সামনে এসেছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে বীরভূমে দলের সংগঠনেও ভাঙন ধরতে শুরু করেছে বলে খবর। তবে এখনও পর্যন্ত বীরভূমের সভাপতি পদ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) সরায়নি তৃণমূল। বরং মাঝেমধ্যেই তাঁর সমর্থনে মুখ খুলতে দেখা যায় নেতা-মন্ত্রীদের। তৃণমূল নেত্রী Mamata Banerjee (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ) নিজেও অনুব্রতর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন প্রকাশ্য মঞ্চে। আরও একবার অনুব্রতকে নিয়ে মুখ খুললেন মমতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া কেন, তুললেন প্রশ্ন।


এখনও পর্যন্ত বীরভূমের সভাপতি পদ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে সরায়নি তৃণমূল


বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানেই অনুব্রতকে নিয়ে মুখ খোলেন। মমতা বলেন, "কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে কেন, পঞ্চায়েত ভোট আসবে বলে! পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরও অনেক গ্রেফতারি হতে পারে।" শুধু তাই নয়, লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট দখলের জন্য এমন আরও অনেক গ্রেফতারি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন মমতা। 


গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে বেশ কিছুদিন ধরেই চেষ্টা-চরিত্র চালাচ্ছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাতে আর কোনও বাধা রইল না তাদের। কারণ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে বৃহস্পতিবারই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছে গেছে বিশেষ সিবিআই আদালতের রায়ের সেই কপি।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: জোট হবে মানুষের সঙ্গে, '২৪-এ কারও হাত ধরবে না তৃণমূল, জানিয়ে দিলেন মমতা


গরুপাচার মামলায় গত ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ১৭ নভেম্বর আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে প্রায় পাঁত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার পর থেকেই তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু কখনও নতুন মামলা, কখনও বা আইনি জট বার বার তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। এ দিন শেষ মেশ বাধা ঘুচল। 


গরুপাচার মামলায় গত ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই


কয়েক দিন আগেই অনুব্রতর গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। গত ১৯ ডিসেম্বর ওয়ারেন্ট জারি করার পরও কেন এখনও পর্যন্ত অনুব্রতকে পেশ করা হল না আদালতে, জানতে চায় আদালত। কেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হল না, প্রশ্ন তোলা হয়। জবাবে ইডি জানায়, অনুব্রত রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছেন। সেখানে এখনও রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। তাতে পাল্টা প্রশ্ন তোলে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। বিচারক জানতে চান, স্থগিতাদেশ যখন আসেনি, তাহলে কেন অনুব্রতকে আদালতে হাজির করানো হল কেন? দিল্লি হাইকোর্টে আগামী ১৭ মার্চ শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে অনুব্রতর আবেদনের।