কলকাতা: নিজে গিয়ে কাগজপত্র তুলে দিয়েছিলেন হাতে। এ বার বিশ্বভারতী (Visva Bharati) এবং অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) মধ্যে চলা জমি সংঘাত নিয়ে বিধানসভায় সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপি-র (BJP) হাত ধরে বিশ্বভারতীতে রাজনীতি ঢুকেছে এবং তাতে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 


বিধানসভায় মমতার ভাষণে বিশ্বভারতী-অমর্ত্য সংঘাত


সোমবার বিধানসভায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভাষণের জবাবী বক্তৃতা চলছিল। সেখানেই বিশ্বভারতী এবং অমর্ত্যর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মমতা। বলেন, "অমর্ত্য সেনের মতো মানুষের বিরুদ্ধেও জমি দখলের অভিযোগ করছে! আমরা হলে পায়ে জমি দিয়ে আসতাম।" বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীতে রাজনীতি করে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করারও অভিযোগ তোলেন মমতা।


কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রাপ্য বকেয়ার দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরেই সরব রাজ্য সরকার। রাজ্যের ঘাড়ে থাকা ধারদেনা নিয়ে  আবার পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন বিরোধীরা। সেই আবহে এ দিন বিজেপি এবং সিপিএম-কে এক আসনে বসিয়ে আক্রমণ শানান মমতা। বলেন, "মাথা পিছু দেনা, সিপিএমের জন্য, বিজেপির জন্য, আমাদের জন্য নয়। হীরকরাজার দেশের বাবুমশাইকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন্দ্রের দুয়ারে সরকার পুরস্কার পেলাম কেন! যত দোষ তৃণমূলের, তোমরা মহাপুরুষ!"


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: বিধানসভায় শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব, মমতার হস্তক্ষেপে করা হল প্রত্যাহার


এ দিন বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি ভাষণ দেওয়ার সময় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসা বাধে। তাতে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় শুভেন্দুকে সাসপেন্ড কারর প্রস্তাব আনেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাতে বাধা দেন বলে জানা গিয়েছে। তার পর সেই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় বিধানসভায়।


বিশ্বভারতীতে রাজনীতির প্রবেশ নিয়ে সরব মমতা


বিধানসভা সূত্রে খবর, বিরোধী দলনেতা-সহ সকলের হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন মমতা। বলেন, "অধ্যক্ষের অপমান করা হয়েছে ঠিকই। আমি বিরোধী দলনেতা এবং সকলের হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।" তাতে অধ্যক্ষ জানান, মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু ক্ষমা চেয়েছেন, তাই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আপাতত প্রস্তাব গৃহীত হচ্ছে না। এর পরই প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীকেই এর পর নিশানা করেন শুভেন্দু। আগাগোড়া তাঁর ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বাধা দিচ্ছিলেন, তৃণমূল বিধায়করা গন্ডগোল পাকাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও এনেছে বিজেপি।