কলকাতা: রাজ্য বিধানসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সাসপেন্ড করার প্রস্তাব। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিধানসভা শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করে রাখার প্রস্তাব জমা পড়ে। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু। অধ্যক্ষের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন। 


২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিধানসভা শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করে রাখার প্রস্তাব জমা পড়ে


বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্যপালের ভাষণের প্রেক্ষিতে বিধানসভায় জবাবি ভাষণ দিচ্ছিলেন শুভেন্দু। কিছু ক্ষণ তাঁর ভাষণ চলার পর তিনি অধ্যক্ষের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তার পর শুভেন্দু এবং বিরোধী দলনেতারা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। অধ্যক্ষের চেয়ারকে অসম্মান করার জন্য়ই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনা হয়। তাপস রায় প্রস্তাবটি তোলেন।


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'বিচারপতি ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন', চাকরি বাতিলের ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের


কিন্তু প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন মমতা। বিরোধী দলনেতা-সহ সকলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তিনি। বলেন, "অধ্যক্ষের অপমান করা হয়েছে ঠিকই। আমি বিরোধী দলনেতা এবং সকলের হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।" তাতে অধ্যক্ষ জানান, মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু ক্ষমা চেয়েছেন, তাই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে আপাতত প্রস্তাব গৃহীত হচ্ছে না। এর পরই প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।


প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হলেও, মমতাকে এ দিন তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু


তবে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হলেও, মমতাকে এ দিন তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা, সিপিসি নির্দেশিকা, বাংলায় আপনার প্রশাসন ছত্রে ছত্রে ভাঙছে। আপনিও ভাঙছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি, আপনার মন্ত্রীরা জেলায় জেলায়, মহকুমায় সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে সভা করবেন, রাজনৈতিক সভা করবেন...সেটা হয়েই থাকে। কিন্তু আপনি হিঙ্গলগঞ্জে কম্বল বিতরণ করতে গিয়েছেন, সেই সভার ব্যবস্থাপনার খরচ তফসিলি জাতি-উপজাতি, মিড ডে মিলের বরাদ্দ টাকায় হয়েছে। কেন এ ভাবে টাকা খরচ হবে!"


রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী অর্থসাহায্য দিয়েছেন। ওই অর্থসাহায্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া উচিত ছিল, কেন ওই টাকা মিড ডে মিলের বরাদ্দ থেকে দেওয়া হল, এ দিন এমন প্রশ্নও তোলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, বিধানসভায় তাঁকে এই সব কথা বলতে বাধা দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীরা। তৃণমূলের বিধায়করা হই-হট্টগোল করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাতে উস্কানিও দিচ্ছিলেন বলে দাবি শুভেন্দুর।