কলকাতা: কলকাতার একটি দুর্গাপুজোয় অসুরকে গাঁধীর চেহারার মতো করে তৈরি করা হয়েছিল। তা নিয়ে সেই সময় তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। এবার সেই প্রসঙ্গ উঠে এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।


তীব্র সমালোচনা মমতার:
তিনি বলেন, 'আপনারা মা দুর্গার নামে একটি পুজো করলেন, গাঁধীজিকে আপনারা অসুর বানিয়ে দিলেন? গাঁধীজিকে অসুর বানিয়েছেন ! শাস্তি দেবে জনতা। দেশের এক নম্বর নেতা গাঁধীজিকে আপনারা অসুর বানিয়ে দিলেন, এটা অত্যন্ত লজ্জার, মানুষ জবাব দেবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমি কিছু বলিনি, কারণ পুজোর সময় লোকে জানলে অনেকের দুঃখ হবে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু হবে বলে।'


কোন পুজো নিয়ে বিতর্ক:
দুর্গাপুজোর মাঝেই কলকাতার কসবায় হিন্দু মহাসভার পুজো ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কারণ সেই পুজোয়, অসুরের চেহারা ছিল মহাত্মা গাঁধীর মতো। ২ অক্টোবর ছিল সপ্তমী। সেদিনই মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিবস। ওই দিনই শুরু হয় বিতর্ক। ওই পুজোয় অসুরের চেহারা ছিল অবিকল মহাত্মা গাঁধীর মতো। মূ্র্তিতে ছিল মাথাজোড়া টাক, চোখে ছিল গোলাকার চশমা, হাতে ছিল লাঠি। সেই রকম দেখতে অসুরের বুকে ত্রিশূল ঠেকিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। এমন ছবি সামনে আসতেই প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। 


বিষয়টি নিয়ে আসরে নামে কংগ্রেস। গোটা ঘটনার প্রবল বিরোধিতা করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। গোটা ঘটনায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করে কংগ্রেস। কড়া সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। এমনকী বিষয়টি নিয়ে নিন্দা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিও।  


বিতর্কের পরে বদল অসুরের চেহারায়:
প্রবল বিতর্কের মুখে, অবশেষে বদলে যায় অসুরের চেহারা। সপ্তমীর রাতে অসুরের মাথায় চুল ও মুখে গোঁফ লাগিয়ে, তার চেহারা কিছুটা বদলানো হয়। চোখ থেকে খুলে নেওয়া হয় চশমাও। হিন্দু মহাসভার কার্যকরী সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, 'আমার কাছে উড়ো ফোন এসেছে। নির্দেশ হচ্ছে এখুনি অসুরের রূপ বদল করার জন্য়। নাহলে পুজো বন্ধ করে দেওয়া হবে।' 


বৃহস্পতিবার উত্তীর্ণয় বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন মমতা। সেখান থেকেই নাম না করে বিজেপি-কে নিশানা করেন তিনি। বিজয়া সম্মিলনীতে রাজনীতি টানতে পছন্দ করেন না, তা সত্ত্বেও করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। মমতা বলেন, 'আজ তুমি ক্ষমতায় আছো, এজেন্সিকে ব্যবহার করছো। কাল তুমি ক্ষমতায় না থাকলে, তখন কী হবে? এজেন্সি তোমারই কান মুলে দেবে।' 


আরও পড়ুন: চারটি বাইক নিয়ে, পুলিশ ঠেঙিয়ে আন্দোলন হয়না, নাম না করে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ মমতার