কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই রাজনীতিতে এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন একাধিক বার। তৃণমূলের (TMC) সেই নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) বিরুদ্ধেই কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ। ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে কয়েক শো মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা (Mamata Banerjee)।


বুধবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে নুসরতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, "আমি এ ব্যাপারে আলোচনা করব না। কিছু না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়। কেউ গিয়ে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে। আগে দেখুন অভিযোগ সত্যি কিনা!"


বিজেপি-র সহায়তায় একটি ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মীরা ইতিমধ্যেই নুসরতের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, "ইডি যা বলল একতরফা, সিবিআই যা বলল একতরফা। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই অভিযুক্ত হয়ে গেল! অভিযোগ সত্য হলে আইন আইনের পথে চলবে। আমাকেও কেউ একজন বলছিল, ওদের একজন সাংসদ আছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। কিন্তু জানানো সত্ত্বেও ইডি কিছু করেনি। অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। তাই নাম বলব না আমি। কিন্তু সরাসরি চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চিটফান্ড সংস্থার মালিকের সঙ্গে বিদেশে ঘুরতেও গিয়েছেন। সব তথ্য থাকা সত্ত্বেও কেন ডাকা হয় না তাঁদের?"



আরও পড়ুন: Nusrat Jahan: প্রশ্নের মুখে বেসামাল, মেজাজ হারালেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ


এ দিন মমতা জানান, আইন সকলের জন্য সমান হওয়া উচিত। নুসরতের নামে যেহেতু মামলা, তাই তিনিই যা বলার বলবেন। নুসরতের আইনজীবী কাজ করবেন। বিষয়টি তাঁর নয় বলেও জানান মমতা। যে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, সেই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। সেই নিয়ে মমতা বলেন, "এমন ডিরেক্টর অনেক রয়েছেন। ভর্তি চারিদিকে। বিজেপি-র নেতারা ২০-২২ জন করে কেন্দ্রীয় পুলিশ নিয়ে ঘুরছেন। অপব্যবহার হচ্ছে না! " ভোটের রাজনীতিটা ভালই বোঝে ওঁরা। মিথ্যে প্রচার ভাল পারেন। প্রচুর চটাকা আছে। ওঁদের টাকার আমদানি কোথা থেকে হয়, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন নেই। অন্যদের বেলায় ইডি, সিবিআই। তাছাড়া আয়কর রয়েছে, নির্বাচন কমিশন রয়েছে। কারও ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমি কথা বলব না।"