কলকাতা: হিংসায় অশান্ত মণিপুর। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্য়া। প্রতিদিনই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। মণিপুরে রয়েছে একাধিক বাঙালিও। তাঁদের কথা ভেবে পদক্ষেপ রাজ্যের। 


সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'মণিপুরে ১৮৫ জন বাঙালির সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়েছে।' পরিস্থিতি উপর নজর রাখার জন্য নবান্নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর - ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬ ও ০৩৩-২২৫৩-৫১৮৫। ১৮ পড়ুয়া সহ ২৫ জনকে বিমানে ফেরানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানান মুখ্য়মন্ত্রী।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'রাজ্যের যারা আটকে আছেন, তাদের ফেরানোর জন্য মণিপুর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের ১৪০ ও তেলেঙ্গনার ২৬ জন পড়ুয়া মণিপুর থেকে বংলায় এসেছেন। রাজ্যের যারা আটকে আছেন, তাদের ফেরানোর জন্য মণিপুর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অন্ধ্রপ্রদেশের ১৪০ ও তেলঙ্গানার ২৬ জন পড়ুয়া মণিপুর থেকে বাংলায় এসেছেন।'


মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'রাজনীতি আগে নাকি মানুষের জীবন, কোনটা গুরুত্বপূর্ণ? উত্তর-পূর্বের রাজ্য জ্বলছে, আমরা উদ্বিগ্ন। মণিপুরের ঘটনা ম্যান মেড প্রবলেম। বাংলাতেও একই ভাবে সমস্যা তৈরির চেষ্টা চলছে।'


অমিত শাহের বাংলায় আসার কথা। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় আসছেন ভাল কথা, কিন্তু মণিপুরে যাচ্ছেন না কেন?' 


আগেও উদ্বেগ প্রকাশ:
এর আগেও মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ মে মমতা ট্যুইট করেন, 'আমি মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি ও নির্বাচন নিজেদের জায়গায় থাকুক। আমাদের সুন্দর রাজ্য মণিপুরকে আগে রক্ষা করতে হবে আগে। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মণিপুরের বিষয়টি আলাদাভাবে দেখতে , সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করছি। আমি আমাদের মণিপুরের ভাই-বোনদেরও শান্ত থাকার, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাই। আজ যদি আমরা মনুষ্যত্বকেই এভাবে ধ্বংস করি, তাহলে আগামী দিনে নিজেদের আর মানুষ বলতে পারব না।' 



আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে ট্যান পড়ে ঠোঁটেও, এই সমস্যা এড়িয়ে চলবেন কীভাবে? রইল কিছু সহজ টিপস