ঝিলম করঞ্জাই ও পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : শিকার করতে গিয়ে গলায় অস্ত্র বিঁধে বিপত্তি। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে (Bankura Medical College) জটিল অস্ত্রপচারে প্রাণ বাঁচল পুরুলিয়ার বাসিন্দার।


শিকার করতে গিয়ে আমচকাই গলায় অস্ত্র বিঁধে যায় এক ব্যক্তির। পুরুলিয়া জেলা হাসলাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে রেফার করা হয়। বাঁকুড়া মেডিক্যালে ৫ ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার ((Critical Operation) ) সফল হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, স্থিতিশীল রয়েছেন রোগী। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। 


আরও পড়ুন- ‘তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্যা কোথায়?’ প্রশ্ন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হার


গত নভেম্বরে ভোর রাতে (Wee Hours) গলায় ত্রিশূল (trishul) বেঁধা অবস্থায় এনআরএসে (NRS) হাজির হয়েছিলেন এক রোগী। চিকিৎসকদের (doctors) তৎপরতায় তাঁর প্রাণ বাঁচে । হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাত ৩টে নাগাদ এনআরএসের জরুরি বিভাগে এসে পৌঁছেছিলেন তিনি। গলায় ত্রিশূল বিঁধে রয়েছে দেখে তাঁকে তড়িঘড়ি পাঠানো হয় ইএনটি-র জরুরি বিভাগে। দ্রুত অ্যানাস্থেশিয়া করে অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। চিকিৎসক সুতীর্থ সাহার নেতৃত্বে প্রায় ঘণ্টাখানেক অস্ত্রোপচারের পর পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়।


আরও পড়ুন- অসময়ে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না


গত মার্চে  বিরল রোগ (Critical Dieseas) নির্মূল করতে জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্যের (Sucessful Operation) নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Calcutta Medical College) মেডিসিন ও নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। প্রাণ সংশয় হয়েছিল যাঁর, সেই রোগিণীও সন্তানকে নিয়ে ফেরেন ব্যারাকপুরের বাড়িতে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগেই বিরল এক রোগ, অ্যাপ্লা সিনড্রোমে আক্রান্ত হন রাজিনা। এর ফলে রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছিল। পাশাপাশি সিস্টেমিক লুপাস এরিথিমেটোসাস রোগে ক্ষতি হচ্ছিল কিডনির। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মে়ডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের নজরদারিতে দু'বছর রাজিনার চিকিৎসা চলে। শেষপর্যন্ত জটিলতা কাটিয়ে উঠে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বাড়ি ফিরে ফের রোগাক্রান্ত হন রাজিনা ! এবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ! পরিবার সূত্রের খবর, রাজিনাকে ফের ভর্তি করা হয় কলকাতা মে়ডিক্যাল কলেজে । মেডিসিন বিভাগে পরীক্ষার পরে দেখা যায় রোগিণীর মস্তিষ্কে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়ে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। এরপর দায়িত্ব নেন কলকাতা মেডিক্যালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা। ক্রেনিওক্টমি পদ্ধতির মাধ্যমে রোগিণীর মাথার খুলির অংশ কেটে, পেটের কাছে অস্ত্রোপচার করে ত্বকের নীচের অংশে তা ঢুকিয়ে রাখা হয়। এরপর ওষুধের সাহায্যে দূর করা হয় রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা। পরের ধাপে খুলে রাখা খুলির অংশ আগের জায়গায় বসানো হয়। যারপর কার্যত নতুন জীবন পান ওই রোগিণী।