কলকাতা :  কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল করে সাধারণ মানুষকে রাজ্যের সরকার ভুল বুঝিয়ে আসছে বলে বরাবরই দাবি করে আসছে বিজেপি (BJP) ।  তাদের অভিযোগ,  কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামবদল নিয়মবিরুদ্ধ।  কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যে চালানোর যে নিয়মাবলী রয়েছে সেই অনুসারে তা করা যায় না।


এই আবহেই শনিবার একের পর এক ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari ) বলেন, 
' আমি সেন্ট্রাল টিমকে অনুরোধ করব উপভোক্তাদের (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা) বাড়িগুলি নিজেদের মতো করে নির্বাচন করতে। কারণ, BDOরা আপনাদের বিভ্রান্ত করতে পারে। পাশাপাশি উপভোক্তাদের কাছে প্রশাসনকে তাঁদের দেওয়ালে লাগানো প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করতে এখনই না দিয়ে, বরং সেটি পরিদর্শনকারী দলের সদস্যদের দেখানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।  ' 


পরের আরেকটি ট্যুইটে একটি ছবি শেয়ার করে তিনি বলেছেন, 







কেন্দ্রীয় পরিদর্শন দল আসার আগেই PMAY (Pradhan Mantri Awas Yojana - প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা) বাড়িতে ‘সঠিক’ নাম এবং লোগো লাগানোর জন্য জেলাশাসকদের তরফে এই জরুরি নির্দেশ BDO-দের পাঠানো হয়েছে।
এমনকি এই লোগো পাঠানো হয়েছে। 






 বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প ২০১৬-১৭ আর্থিক বছর থেকে রাজ্যে চালু হয়। মূলত বাড়ি না থাকলে বা মাটির বাড়ি থাকলেই প্রকল্পটির সুবিধা পাওয়া যায় । শুভেন্দুর পরপর তোপের জবার সোমবার কড়া ভাষায় দেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে  বর্ধমানে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, প্রকল্পের নাম ‘বাংলা আবাস যোজনা’ই থাকবে। তিনি বলেন, ‘যে কোনও রাজ্যের নিজের নামে বাড়ি থাকবে। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে নিজেদের নামে বাড়ি থাকলে, বাংলার ক্ষেত্রে কেন আপত্তি তোলা হচ্ছে?


সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' যে কোনও রাজ্যের নিজের নামে বাড়ি থাকবে। গুজরাতে গুজরাতের নামে থাকবে। উত্তরপ্রদেশে যদি উত্তরপ্রদেশের নামে থাকতে পারে, রাজস্থানে যদি রাজস্থানের নামে থাকতে পারে, তাহলে বাংলার নামে থাকলে আপনাদের কিসের আপত্তি? '


১৯৮৫ সালে ‘ইন্দিরা আবাস যোজনা’ চালু করেন রাজীব গাঁধী । ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর, প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ করা হয়। তৃণমূল সরকার আবার রাজ্যে সেই প্রকল্পের নাম ‘বাংলা আবাস যোজনা’ করেছে বলে অভিযোগ।