কলকাতা: মাত্র তিন মাসের মাথা সাগরদিঘি ফের হস্তগত করে নিয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেসের (Congress) টিকিটে এবং বামেদের সমর্থনে উপনির্বাচন জেতা বায়রন বিশ্বাস (Bayron Biswas) যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে  (TMC) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত ধরে জোড়াফুল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। বায়রনকে দলে নেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরেই। কিন্তু এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 


মঙ্গলবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখান থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণা করেন। আগামী একবছরের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন। আর তার পরই উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে বায়রনের প্রসঙ্গ উঠলে, মাঝপথেই সাংবাদিকদের কার্যত থামিয়ে দেন মমতা। তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। 


এ দিন বায়রনের প্রসঙ্গ উঠলে মমতা বলেন, "এসব স্থানীয় বিষয়। আমি এসব জানি না। স্থানীয় নেতৃত্বকে জিজ্ঞাসা করুন। আমিও কাগজে দেখলাম। আমি এগুলো করি না। দলের নানা সিস্টেম রয়েছে। ব্লক স্তর রয়েছে। ওদের জিজ্ঞাসা করুন, আমাকে নয়।"


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক মিলিয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ, দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ মমতার


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য বিধানসভায় শূন্যে নেমে গিয়েছিল বাম-কংগ্রেস দুই দলই। তার পর সাগরদিঘি উপনির্বাচন কিছুটা মুখরক্ষা করে তাদের। কংগ্রেসের টিকিটে এবং বামেদের সমর্থনে সেখানে জয়ী হন বায়রন। ফলে রাজ্য বিধানসভায় ফের প্রবেশাধিকার পায় কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রতি বায়রনের নরম মনোভাব নিয়ে যদিও ভিতরে ভিতরে প্রশ্ন উঠছিল, কিন্তু তার পর সাগরদিঘি মডেলকেই জায়গায় জায়গায় কার্যকর করতে নেমে পড়ে বাম এবং কংগ্রেস। এমনকি সমবায় নির্বাচনে বিজেপি-ও তাতে শামিল হয় বলে শোনা যায়। 


কিন্তু বায়রনের তৃণমূলে যোগ দেওয়া সেই সংক্রান্ত যাবতীয় হিসেব-নিকেশ পাল্টে দিল। বায়রনকে দলে টেনে তাহলে কি রাজ্যে তৃণমূল বিরোধী জোটের সম্ভাবনাকেই ধাক্কা দেওয়া হল? প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, "বাম-রাম-শ্যাম কখনও কুকাজ-অকাজ থেকে বিরত হয়? চিরকাল ওরা এক, একই থাকবে। ওদের এক থাকতে দিন। একই মালার তিনটি ফুল ওরা। ফুল তো নয় কাঁটা, বাবলা গাছ আর কুল গাছের কাঁটা। ওরা খারাপ ছাড়া ভাল চিন্তা করে না। ওদের নিয়ে ভাবার সময় নেই আমাদের।"