কলকাতা: 'গরু পাচারের সবথেকে বেশি টাকা খায় বিজেপি, কয়লা পাচারের সব থেকে বেশি টাকা খায় বিজেপি (Mamata Banerjee Scathing Attack BJP)', পুর-পরিষেবা নবান্নের বৈঠকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী শিবিরকে এভাবেই আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আর যা...
এদিন তিস্তার জল থেকে শুরু করে বিষয়ে একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নিতে শোনা যায় তৃণমূলনেত্রীকে। বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার জল বিক্রি করে দিচ্ছে। নিট বিক্রি করে দিচ্ছে। ফরাক্কা নিয়ে আবার বৈঠক হল আমাদের জানাল না। জলের আরেক নাম জীবন। ওরা জানে না উত্তরবঙ্গের অর্ধেক মানুষ আগামী দিন জল পাবেন না। ভাবছে উত্তরবঙ্গ। স্ট্রং চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে দিচ্ছি।' প্রসঙ্গান্তরে বলেন তিনি 'জনসেবক' চান, 'টাকা তোলার মাস্টার' চান না। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, 'বাংলা থেকে মোটা টাকা তুলছে বিজেপি। গরুর টাকা সবচেয়ে বেশি খায় বিজেপি, কয়লার টাকা সবচেয়ে বেশি খায় বিজেপি, বালির টাকা খায় বিজেপি।' রাখঢাক না করে এ জন্য পুলিশের একাংশের দিকেই আঙুল তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের মাধ্যমে এই টাকা বিজেপির হাতে যায়, অভিযোগ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। তবে এ কাজে যে তৃণমূলেরও কিছু লোক জড়িত, সে কথাও মেনে নিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, 'আমাদেরও কিছু লোক আছে, যাতে ইডি-সিবিআই না ধরে। আমি টাকা তোলার মাস্টার চাই না, জনসেবক চাই। যাঁরা পারবেন তাঁরা করবেন, আগামীতে টিকিট পাবেন। যাঁরা করবেন না, তাঁদের ছুড়ে ফেলা হবে। যত বড় নেতাই হোক।'


বিশদ...
এদিনের বৈঠকের বড় অংশ জুড়ে আত্মসমালোচনার সুর শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। এমনকী, এদিন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নাম পর্যন্ত শোনা গিয়েছে মমতার মুখে। বলেন, 'সল্টলেক আমার কাছে লজ্জা। রাজারহাটেও শুরু হয়েছে জবরদখল, সল্টলেকেও হচ্ছে। সুজিত বসু লোক বসাচ্ছে, কেন বাইরের লোক বসবে? ছবি দেখালে লজ্জা পাবেন, কত দিতে হয়েছে? কত টাকার বিনিময়ে, কারা নিয়েছে টাকা, কেন কাজ করেন না সল্টলেকের কাউন্সিলরেরা? পুলিশের চোখে কিছুই পড়ে না?'  কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করতে গিয়ে আরও বলেন, 'অনেক জমি মাফিয়া কখনও কখনও প্রোটেকশন পেয়ে যায়। পুলিশও দেখে না। আমাকে দেখতে হবে। যাঁরা শুনবেন না, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে কাজ থেকে। বেআইনি পার্কিং।পুলিশ দেখেও দেখে না।' 


আরও পড়ুন:আজ দিনভর মেঘলা আকাশে কতটা বৃষ্টির সম্ভাবনা মহানগরে? ছাতা কি লাগবে?