নয়াদিল্লি: সব সচেতনতা প্রচারই বৃথা। সেই আবার দেশে কন্যা সন্তান জন্মানোর জন্যা মাকে দায়ী করা ও তারপর সদ্যোজাতদের হত্যা করার ঘটনা ঘটল। রাজধানীর বুকে ঘটে গেল এমনই এক ন্যক্কারজনক ঘটনা। সবে জন্মানো সন্তানকে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল সন্তানদেরই বাবা। কেন ছেলে হয় নি, এই নিয়ে সদ্য-মাকে ভর্ৎসনা করে তার স্বামী ও তার পরিবার।     


গত ৩০ মে হরিয়ানার রোহতকে দুটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন পূজা নামের এক মহিলা । হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই প্রকাশ পায় স্বামীর ভয়ানক রূপ। অভিযোগ, ওই মহিলার স্বামী নীরজ জোর খাটিয়ে তার কাছ থেকে সন্তানদের ছিনিয়ে নেয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন পূজা। তাঁকে তাঁর স্বামী বোঝান, তিনি যেন ভাইয়ের সঙ্গে একটি গাড়িতে রওনা দেন। আরেকটা গাড়ি নিয়ে পিছু পিছু দুই সন্তানকে নিয়ে এগোবেন তিনি। 
স্বামীর কথা মতো তাই করতে বাধ্য হন পূজা।  গাড়িতে এগোচ্ছিলেনই, আর পিছনে একটি গাড়িও আসছিল। কিন্তু মাঝপথে ওই গাড়িটি পথ বদল করে নেয়। বাচ্চাদের নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় মহিলার স্বামী। অজানা আশঙ্কায় ছটফট করছিলেন পূজা। অনেক কষ্টে শান্ত করায় তাঁর ভাই। পূজার ভাই নীরজের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু ফোন আর পৌঁছয়নি। 


দুদিন তন্নতন্ন করে চলে বাচ্চাদের খোঁজ। কিন্তু পাওয়া যায়নি। তারপর তাঁরা জানতে পারেন, দিল্লির অদূরেই বাচ্চা দুটিকে কবর দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দুদিন পর এই অভিযোগ করেই পুলিশ অভিযোগ জানান পূজার ভাই জুগনু। অভিযোগকারিণী মা জানিয়েছেন, যমজ মেয়ে হওয়ায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পরিবার খুশি ছিল না । 


২০২২ সালে নীরজকে বিয়ে করেন পূজা। বিয়ের পর থেকেই দেনা পাওনা নিয়ে চাপ দেওয়া হত পূজাকে। জানিয়েছেন তিনি। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে যৌতুকের জন্য রীতিমতো হয়রানি করত । বারবার ছেলের জন্ম দিতে হবে বলে চাপ দিত। তাই যমজ মেয়ে হওয়ায় খুশি ছিল না পরিবার।  অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ ৫ জুন শিশু দুটির মৃতদেহ মাটি থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কীভাবে তাদের মারা হল , তা এখনও পরিষ্কার নয়।  


আরও পড়ুন :


লোকসভার অধিবেশনের প্রথমদিনই ঝড়ের পূর্বাভাস, কোন কোন ইস্যুতে মোদি সরকারকে চেপে ধরবে বিরোধীরা?

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।