দীপক ঘোষ, কলকাতা: প্রজাতন্ত্র দিবসেও রাজ্য-রাজভবন সংঘাত এড়ানো গেল না। রাজ্য পুলিশের ব্যান্ডকে রাজভবনে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ। সেই নিয়ে সরব হতে দেখা গেল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সেই নিয়ে তর্কাতর্কি চলে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই রাজভবনে ঢোকে রাজ্য পুলিশের ব্যান্ড। (Mamata Banerjee)


প্রথা মেনে প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে রাজভবনে চা-চক্রের আয়োজন করা হয়। বিকেল ৪টে থেকে চা-চক্র শুরু হয়। সেখানে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রীও। সেখানে সেই সময় সেনাবাহিনীর ব্যান্ড অনুষ্ঠান করছিল। সেই অনুষ্ঠান চলাকালীনই মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, পুলিশের ব্যান্ডকে রাজভবনের গেটে আটকে দেওয়া হয়েছে। (West Bengal Raj Bhavan)


এর পর সটান রাজভবনের গেটে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশ্ন করেন, কেন আটকানো হয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি বছর পুলিশের ব্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজভবনে। তাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়। এবারও আমন্ত্রণ না করা হলে, অহেতুক কেন আসবে পুলিশের ব্যান্ড? ব্যান্ডকে ভিতরে যেতে দেওয়া হোক বলে দাবি জানান তিনি।



মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে কথা চলছে জেনে সেখানে পৌঁছন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশ ব্যান্ডকে ভিতরে ঢোকার ব্যবস্থা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় এক ঘণ্টা ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন তিনি। পরে বেরিয়ে যান। যদিও রাজভবন সূত্রে খবর, কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। বার্তা পৌঁছনোর ক্ষেত্রে ত্রুটি হয়েছে হয়ত। নয়ত এমন হওয়ার কথা নয়। কারণ পুলিশ বাহিনী রাজভবনের ভিতরে অনুষ্ঠান করেই থাকে। 


যদিও এই ঘটনায় নতুন করে রাজ্য এবং রাজভবনের মধ্যে সংঘাত নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে রাজভবনের নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি চলছে বলে দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই শেষ পর্যন্ত রাজভবনের ভিতরে ঢোকে পুলিশের ব্যান্ড। ভিতরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দের সঙ্গেও পরে কথা বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।