নয়াদিল্লি: সীমান্তে লাগাতার উস্কানি বাংলাদেশের, আরও কাছাকাছি বাংলাদেশ-পাকিস্তান। বাংলাদেশের হাইকমিশনার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিবহণ চালু হবে। মহম্মদ ইকবাল হোসাইন খানের দাবি, 'বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যাতায়াত ও সম্পর্কের উন্নতি হবে।'


বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতি হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা শুরু করার ভাবনার কথা ঘোষণা করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহাম্মদ ইকবাল হোসেইন জানিয়েছেন, যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল যোগাযোগ এবং সম্পর্ককে আরও সহজ করবে। যদিও কবে থেকে এই বিমান পরিষেবা শুরু হবে, সেই বিষয়ে কোনও তারিখ ঘোষণা করেননি। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, "পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা শুরু হলে পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।" দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কের উপরও জোর দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে উল্লেখ করেছেন, এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।


এদিকে ক্ষমতায় এসেই বিদেশনীতিতে বদল আনল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার বাংলাদেশকে আর্থিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করল আমেরিকা। বাংলাদেশে তাদের সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বা USAID। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের জেরে বাংলাদেশ চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা। সে দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ, কৃষকদের জন্য রোজগার থেকে শুরু করে রোহিঙ্গাদের থাকার সুব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ সরকারকে কয়েকশো কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করে আমেরিকা। এবার তা বন্ধ হতে চলেছে।


গত বছর অগাস্টে ছাত্র আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভের চেহারা নেয় বাংলাদেশ। পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনাকে উৎখাতের পর ক্ষমতায় এসেই আমেরিকার সঙ্গে সখ্য বাড়াতে তৎপর হন ডেমোক্র্যাট ঘনিষ্ঠ মহম্মদ ইউনূস। সে সময় মার্কিন মসনদে ছিলেন জো বাইডেন। এতদিন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ, কৃষকদের জন্য রোজগার থেকে শুরু করে রোহিঙ্গাদের থাকার সুব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ সরকারকে কয়েকশো কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করে আসছিল আমেরিকা। সেই ব্যবস্থা আরও পাকাপোক্ত করতে গতবছর সেপ্টেম্বরে USAID-র শীর্ষকর্তা সামান্থা পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু আমেরিকায় পালাবদলের পরই পাল্টে গেল ছবি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শুরু থেকেই তেমন সুসম্পর্ক নেই ইউনূসের। বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময়ও হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প লিখেছিলেন, আমি ক্ষমতায় থাকলে কখনওই এমন পরিস্থিতি হত না। আমেরিকা-সহ গোটা বিশ্বের হিন্দুদের বঞ্চিত করেছেন কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন।



আরও পড়ুন: Padma Awards 2025: পদ্মশ্রী নিতে দিল্লিতে মছলন্দপুরের ঢাকি গোকুলচন্দ্র দাস ! স্ত্রী বললেন, 'তিনি ফিরলেই আসল উৎসব..'