কলকাতা: পুরভোটে তৃণমূলের জয় জয়কার। আসানসোলে (Asansol ) সবুজ ঝড়। বিধাননগর থেকে শিলিগুড়ি, আসানসোল থেকে চন্দননগর--ফলপ্রকাশের আগেই বিভিন্ন পুরসভায় তৃণমূলকর্মীদের শুরু উৎসব। ভোটের ফল দেখে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''আগামীদিনে শিল্পে আরও জোর দিতে হবে। ওদিকে আমার নজর রয়েছে। এই জয় মানুষের জয়। আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। সংস্কৃতি-সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যত জিতব তত নম্র হতে হবে। আরও বেশি মানুষের কাজ করতে হবে। কাল থেকে আবার দুয়ারে সরকার চালু হচ্ছে। করোনা কমে গেলেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।''
বিজেপিকে প্রায় ধুয়ে মুছে সাফ করে সবুজ বিপ্লব। উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে তৃণমূল নেত্রীর প্রতিক্রিয়া, "মানুষ রায় দিয়েছে। গত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি জিতেছে। কিন্তু মানুষের জন্য কিচ্ছু করেনি। চা-বাগান খুলে দেবে বলেছিল, কিচ্ছু করেনি। উত্তরবঙ্গের যাবতীয় কাজ আমরা করেছি। শিলিগুড়ি যাবতীয় উন্নয়নের কাজ আমাদের আমলে হয়েছে।''
উল্লেখ্য, কার্যত বিরোধীশূন্য করে ৪ পুরসভাতেই জোড়া ফুলের ঝড়। বিধাননগর, চন্দননগরে ভোট শতাংশের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে বামফ্রন্ট। আসানসোল, শিলিগুড়িতে ভোট শতাংশের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি। বিধাননগর পুরসভায় ৭৪ শতাংশ ভোট পেল তৃণমূল কংগ্রেস। বিধাননগর পুরসভায় ১১ শতাংশ ভোট পেল বামফ্রন্ট। বিধাননগর পুরসভায় ৮ শতাংশ ভোট পেল বিজেপি। বিধাননগর পুরসভায় ৩ শতাংশ ভোট পেল কংগ্রেস।
চন্দননগর পুরসভায় ৫৯ শতাংশ ভোট পেল তৃণমূল। চন্দননগর পুরসভায় ২৮ শতাংশ ভোট পেল বামফ্রন্ট। চন্দননগর পুরসভায় ১০ শতাংশ ভোট পেল বিজেপি। চন্দননগর পুরসভায় ১ শতাংশ ভোট পেল কংগ্রেস।
আসানসোল পুরসভায় ৬৪ শতাংশ ভোট পেল তৃণমূল। আসানসোল পুরসভায় ১৭ শতাংশ ভোট পেল বিজেপি। আসানসোল পুরসভায় ১১ শতাংশ ভোট পেল বামফ্রন্ট। আসানসোল পুরসভায় ৪ শতাংশ ভোট পেল কংগ্রেস। শিলিগুড়ি পুরসভায় ৪৭ শতাংশ ভোট পেল তৃণমূল কংগ্রেস। শিলিগুড়ি পুরসভায় ২৩ শতাংশ ভোট পেল বিজেপি।শিলিগুড়ি পুরসভায় ১৮ শতাংশ ভোট পেল বামফ্রন্ট।
শিলিগুড়ি পুরসভায় ৫ শতাংশ ভোট পেল কংগ্রেস।