আরামবাগ: নিয়োগ-সমস্যা নিয়ে ফের বিরোধীদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আরামবাগের প্রশাসনিক সভা থেকে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসকে একসারিতে রেখে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বিরোধীদের করা মামলার জন্য়ই নিয়োগ হচ্ছে না বলে তোপ মমতার।


কী বললেন তিনি?
এদিন প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee on Job) বলেন, 'বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের জন্য চাকরি দিতে পারছি না। কিছু করতে গেলেই মামলা করে দিচ্ছে। মানুষ খেয়ে পড়ে বাঁচবে, সেটা আটকাতে নেই।


শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment Scam) নিয়ে বারবার রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস। শিক্ষা দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলে রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা-বিধায়ক। সেই প্রসঙ্গ তুলে বারবার তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে নিয়োগ নিয়ে (Recruitment Case) লাগাতার রাস্তায় আন্দোলনে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারই পাল্টা হিসেবে বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন মমতা। এদিনও একই পথে হাঁটলেন তিনি। আরামবাগের সভা থেকে তিনি বলেন, 'সিপিএম আর বিজেপি নেতাদের বলুন দয়া করে বেকার যুবক যুবতীদের চাকরি আটকাবেন না। একটু মায়া লাগে না। আপনাদের জন্য নিতে পারছি না। তারা চায় না পুলিশে লোক নেওয়া হোক। বিভিন্ন দফতরে ৫ লক্ষ লোক নেওয়া হবে। শিক্ষক নেওয়া হবে। যেই আমরা রেডি করছি কেস ঠুকে দিচ্ছে। যেন জমিদারি পেয়ে গেছে। সাহস থাকলে ভোটে লড়ুন। দুর্নীতি করার চেষ্টা করবেন না। যারা মানুষের চাকরি আটকায় সেটাও দুর্নীতি। রেলে কত দুর্নীতি করেছেন। ডিফেন্সে কী করেছে, আমরা মনে করি যাই হোক ছেলেমেয়েরা চাকরি তো পাচ্ছে। অন্যরা মুখে বলে, আমরা কাজে করি।' 


একই সঙ্গে নিয়োগ নিয়েও আশ্বাস দেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, 'সারা বাংলাজুড়ে ৬টা ইকোনমিক করিডর। আর বাইরে যেতে হবে না। পরিযায়ী শ্রমিককে আর বাইরে যেতে হবে না।' তাঁর আরও আশ্বাস, 'বাকি কিছু নেই। যখন যেটা দরকার দিদিকে আবদার করবেন দিদি করে দেবে। স্বাস্থ্যসাথী রাজ্যই দিচ্ছে। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান কার্ডে তো রাজ্য়কে ৪০ শতাংশ দিতে হচ্ছে। বাইক, টিভি থাকলে দেবে না। আপনাদের চাল পুরোটাই আমরা কিনে নিই। আলুর জন্য শস্য বিমা।' 


এদিন যখন নিয়োগ নিয়ে সমস্যার জন্য বিরোধীদের দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই এদিন কলকাতায় চাকরি চেয়ে পথে নামলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০২২-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখালেন করুণাময়ীর কাছে। জোর করে বিক্ষোভকারীদের তুলে দিল পুলিশ।


আরও পড়ুন: 'আমাদের বাঁচান...' রাজ্যপালকে দেখেই পায়ে পড়লেন আতঙ্কিত মহিলারা