ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম (Jhargram) এখন শান্ত। এখানে মাওবাদী নেই। মাওবাদীদের (Maoist) নাম করে ভয় দেখালে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ঝাড়গ্রামের সভায় হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। এই ইস্যুতে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।


হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের: সন্দেহজনক পোস্টারে তৃণমূল নেতাকে হুমকি, কখনও যুবককে গুলি করে বাইক ছিনতাই। জঙ্গলমহলের পথে যৌথবাহিনীর টহল, হাই অ্যালার্ট জারি করা। জঙ্গলমহলে মাওবাদী আনাগোনার আশঙ্কা নিয়ে হইচইয়ের মধ্যেই ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, সেখানে কোনও মাওবাদী নেই। মাওবাদীদের নামে মিথ্যা প্রচার করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখানে মাওবাদী নেই, মাওবাদীরা যারা ছিল আগে, তারা আমার সঙ্গে কাজ করে এবং তারা জেনারেলভাবে পুলিশে জয়েন করেছে, প্রায় ১ হাজারের ওপর ছেলেমেয়েকে আমরা চাকরি দিয়েছি হোমগার্ডে, ৩০ হাজার আলাদা, যারা মাওবাদী করত, স্যারেন্ডার করেছে তাদের কথা বলছি, প্লাস আরও, যারা মাওবাদীদের হাতে মারা গিয়েছে, তাদেরও প্রায় ৫৫৬ পরিবারকে আমরা চাকরি দিয়েছি, গতকালও আমি ৩৭-৩৫ জনের হাতে আমরা চাকরির লেটার তুলে দিয়েছি।’’


ঝাড়গ্রামে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি করলেও, মাসখানেক আগে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা গলায় শোনা গিয়েছিল আতঙ্কের সুর। তিনি বলেছিলেন, “পুলিশ বলেছে, সন্ধেয় যেন না বেরোই। সেইমতো আমিও নেতাদের বলে দিয়েছি।’’তৃণমূল সূত্রে খবর,  জঙ্গলমহলে কয়েকজন তৃণমূল নেতার নিরাপত্তাও বেড়েছে এই প্রেক্ষাপটেই মুখ্যমন্ত্রীর মাওবাদী-দাবি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্য সরকার তাঁর, ক্ষমতায় তিনিই আছেন, অশান্তির চেষ্টা যদি কেউ করে থাকে, কোনও সেক্টরের তরফ থেকে, তাহলে রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব তাঁদের গ্রেফতার করা, রাজ্য প্রশাসন কি করছে? উনি লোকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন কেন? ওঁর নিজের কোর্ট, ওঁর সমস্ত গেম, পুলিশ ওঁর, এসপি ওঁর, ওঁর কথা মতো এসপি ওঠে-বসে, উনি দায় অন্যের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন, এ হয় নাকি? ওনাকে নিজেকে দায়িত্ব নিতে হবে, না হলে পুলিশ মন্ত্রীর দায়িত্বটা ছেড়ে দিন, আমরা সামলে দিচ্ছি।’’


এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাম-কংগ্রেসও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “মমতাই একসময় মাওবাদীদের নিয়ে কাজ করেছেন। মাওবাদী নেতারাই তো স্বীকার করেছে।’’ বাম জমানার শেষ দিকে ঝাড়গ্রাম-সহ জঙ্গলমহলের ৪ জেলায় দানা বাধে মাওবাদী সক্রিয়তা। সেই বিষয় নিয়েই ফের তরজা শুরু হল বঙ্গ রাজনীতিতে।


আরও পড়ুন: Malda News: মালদায় তালা বন্ধ সরকারি বাস ডিপো, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী